ঢাকা , রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

তানোরে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষককে উত্তম-মধ্যম

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার আলোচিত অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টারের পরিচালক রোকনুজ্জামান এক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব ও মুঠোফোন ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার অভিভাবকগণ উত্তেজিত হয়ে কোচিং সেন্টার ঘেরাও এবং কোচিং সেন্টার পরিচালক অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানকে (শিক্ষক) উত্তম মধ্যম দিয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আহসান হাবীব এবং পরিচালক রোকনুজ্জামান গত এক বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছিলেন।

 

সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করে জানায়,শিক্ষক আহসান হাবীব ও রোকনুজ্জামান মেসেঞ্জারে বিভিন্ন সময় কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন ও পরীক্ষায় পাশ করানোর কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাই। এদিকে গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী কোচিং সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করে আটক করেন।

 

পরবর্তীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রোকনুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। তবে তিনি এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আমি কোনো শারীরিক সম্পর্ক করিনি, শুধু অনলাইনে কথাবার্তা বলতাম। আহসান হাবীব কী করেছে সেটা আমি জানি না,” অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানের বাড়ি তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদপুর গ্রামে।

 

পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেন এ বিষয়ে নিউজ করার প্রয়োজন নাই নিউজ না করাই ভালো বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

 

স্থানীয়রা জানান, অপর শিক্ষকের নাম আহসান হাবিব। তার বাড়ি খুলনা জেলায়, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে পড়ান।
এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কমলেশ বলেন,
দুপুরের দিকে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হয়েছে আর আমি খেতুরীধাম মেলায় আছি ভাই একটু ব্যস্ত আছি ।

 

অন্যদিকে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ফাঁড়ির এসআই সোনাতন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন এবং ছাত্রীদের খারাপ প্রস্তাব দিতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে স্থানীয় জনতা তাকে হালকা শারীরিকভাবে শাস্তি দিয়ে আটক রাখে। তার বাবা ভুল স্বীকার করে তাকে নিয়ে গেছেন।

 

এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক সমাজ ও সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
একজন শিক্ষক যখন ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করে, তখন তা পুরো শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।স্থানীয় অভিভাবকরা আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে আর না ঘটে, সে জন্য “অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টার” স্থায়ীভাবে বন্ধেরও দাবি জানান।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম কে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিএনপি’র বিজয় হবে

error: Content is protected !!

তানোরে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষককে উত্তম-মধ্যম

আপডেট টাইম : ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

 

রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার আলোচিত অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টারের পরিচালক রোকনুজ্জামান এক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব ও মুঠোফোন ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর এবং কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার অভিভাবকগণ উত্তেজিত হয়ে কোচিং সেন্টার ঘেরাও এবং কোচিং সেন্টার পরিচালক অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানকে (শিক্ষক) উত্তম মধ্যম দিয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আহসান হাবীব এবং পরিচালক রোকনুজ্জামান গত এক বছর ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছিলেন।

 

সম্প্রতি কয়েকজন ছাত্রী তাদের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করে জানায়,শিক্ষক আহসান হাবীব ও রোকনুজ্জামান মেসেঞ্জারে বিভিন্ন সময় কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এবং অনৈতিক প্রস্তাব দেন ও পরীক্ষায় পাশ করানোর কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাই। এদিকে গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার বিক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী কোচিং সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করে আটক করেন।

 

পরবর্তীতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক রোকনুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। তবে তিনি এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আমি কোনো শারীরিক সম্পর্ক করিনি, শুধু অনলাইনে কথাবার্তা বলতাম। আহসান হাবীব কী করেছে সেটা আমি জানি না,” অভিযুক্ত রোকনুজ্জামানের বাড়ি তানোর উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদপুর গ্রামে।

 

পরে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেন এ বিষয়ে নিউজ করার প্রয়োজন নাই নিউজ না করাই ভালো বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

 

স্থানীয়রা জানান, অপর শিক্ষকের নাম আহসান হাবিব। তার বাড়ি খুলনা জেলায়, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে পড়ান।
এ বিষয়ে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কমলেশ বলেন,
দুপুরের দিকে এমন একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হয়েছে আর আমি খেতুরীধাম মেলায় আছি ভাই একটু ব্যস্ত আছি ।

 

অন্যদিকে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ফাঁড়ির এসআই সোনাতন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন এবং ছাত্রীদের খারাপ প্রস্তাব দিতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরে স্থানীয় জনতা তাকে হালকা শারীরিকভাবে শাস্তি দিয়ে আটক রাখে। তার বাবা ভুল স্বীকার করে তাকে নিয়ে গেছেন।

 

এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক সমাজ ও সচেতন মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
একজন শিক্ষক যখন ছাত্রীর সঙ্গে এমন আচরণ করে, তখন তা পুরো শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।স্থানীয় অভিভাবকরা আরও জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড যাতে আর না ঘটে, সে জন্য “অ্যাডভান্স কোচিং সেন্টার” স্থায়ীভাবে বন্ধেরও দাবি জানান।


প্রিন্ট