ঢাকা , সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন। Hotline- +880 9617 179084

পরকীয়ার টানে মেয়েসহ ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও গৃহবধূ

আসলাম বেপারীঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পরকীয়ার টানে ঘরছাড়া হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় স্বামী শেখ সিরাজ (৩৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে
এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরভদ্রাসনের বি-এস-ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ জব্বারের ছেলে শেখ সিরাজের সঙ্গে ১৩ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে হয়
শারমিন আক্তারের (২৫)। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে—সানজিদা (১১) ও সাবিহা (৭)। সংসার প্রথমদিকে ভালো চললেও কয়েক বছর ধরে
শারমিনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে এবং এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।

গত ২৯ জুন শারমিন বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় সিরাজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তবে সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে শারমিন ছোট মেয়ে সাবিহা (৭), নগদ প্রায় ২০ লাখ টাকা, একটি ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে সদরপুর
উপজেলার কাটাখালী মটক চর গ্রামের খালেক মুন্সির ছেলে মাহমুদ মুন্সির সঙ্গে চলে যান।

অভিযোগে শেখ সিরাজ উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে জমি ও গবাদিপশু বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা তার স্ত্রী কৌশলে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং
পরে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

অভিযোগকারী শেখ সিরাজ জানান, “আমি ভাই লেখাপড়া জানি না। শারমিন আমাকে নিঃস্ব করে টাকা-পয়সা সব হাতিয়ে নিয়ে চলে গেছে। আমি
থানায় অভিযোগ করেছি। আমার টাকা-পয়সা ফেরত চাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত মাহমুদ মুন্সি জানান, “আমার কোন দ্বিতীয় স্ত্রী নেই। আমার স্ত্রীর নাম ঝুমা ইসলাম। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর আগে আমার
বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগ হয়েছিল, পরে সেটি উঠিয়ে আনা হয়েছে। আবার কেন অভিযোগ করা হচ্ছে, তা আমি দেখছি।”

শারমিন আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

চরভদ্রাসন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিশ্বজিৎ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং খোঁজখবর নিচ্ছি। যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি
পার্শ্ববর্তী সদরপুর থানায়, তাই কিছুটা সময় লাগছে। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়া নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নের পথিকৃৎঃ মিরপুরে নারী সমাবেশে অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম

error: Content is protected !!

পরকীয়ার টানে মেয়েসহ ২০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও গৃহবধূ

আপডেট টাইম : ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
আসলাম বেপারী, স্টাফ রিপোর্টার, চরভদ্রাসন, ফরিদপুর :

আসলাম বেপারীঃ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পরকীয়ার টানে ঘরছাড়া হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় স্বামী শেখ সিরাজ (৩৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে
এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরভদ্রাসনের বি-এস-ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ জব্বারের ছেলে শেখ সিরাজের সঙ্গে ১৩ বছর আগে ইসলামী শরিয়া মতে বিয়ে হয়
শারমিন আক্তারের (২৫)। তাদের সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে—সানজিদা (১১) ও সাবিহা (৭)। সংসার প্রথমদিকে ভালো চললেও কয়েক বছর ধরে
শারমিনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে এবং এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়।

গত ২৯ জুন শারমিন বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় সিরাজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তবে সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে শারমিন ছোট মেয়ে সাবিহা (৭), নগদ প্রায় ২০ লাখ টাকা, একটি ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে সদরপুর
উপজেলার কাটাখালী মটক চর গ্রামের খালেক মুন্সির ছেলে মাহমুদ মুন্সির সঙ্গে চলে যান।

অভিযোগে শেখ সিরাজ উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে জমি ও গবাদিপশু বিক্রি করে প্রায় ২০ লাখ টাকা তার স্ত্রী কৌশলে নিজের অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং
পরে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান।

অভিযোগকারী শেখ সিরাজ জানান, “আমি ভাই লেখাপড়া জানি না। শারমিন আমাকে নিঃস্ব করে টাকা-পয়সা সব হাতিয়ে নিয়ে চলে গেছে। আমি
থানায় অভিযোগ করেছি। আমার টাকা-পয়সা ফেরত চাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত মাহমুদ মুন্সি জানান, “আমার কোন দ্বিতীয় স্ত্রী নেই। আমার স্ত্রীর নাম ঝুমা ইসলাম। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর আগে আমার
বিরুদ্ধে একবার থানায় অভিযোগ হয়েছিল, পরে সেটি উঠিয়ে আনা হয়েছে। আবার কেন অভিযোগ করা হচ্ছে, তা আমি দেখছি।”

শারমিন আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

চরভদ্রাসন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিশ্বজিৎ বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং খোঁজখবর নিচ্ছি। যেহেতু অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি
পার্শ্ববর্তী সদরপুর থানায়, তাই কিছুটা সময় লাগছে। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”


প্রিন্ট