ইসমাইল হােসেন বাবুঃ
কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে এক মৎস্য খামারের তিনটি পুকুরে ৭০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। মৎস্য কর্মকর্তার ধারণা, অ্যামোনিয়া গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
.
দৌলতপুরের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে মাছের খামার রয়েছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বেনজির আহমেদ বাচ্চুর। পাঁচটি পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন করেন তিনি। একসঙ্গে থাকা তাঁর তিনটি পুকুরে গতকাল ভোরে মাছ মরে ভেসে ওঠে।
.
একই এলাকার মাছ চাষি রতন আলী ওই তিনটি পুকুরের দেখভাল করেন। এগুলোর একটি তিন বিঘা, একটি দুই বিঘা ও একটি এক বিঘা আয়তনের। রতন বলেন, বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা সম্ভবত বিষ বা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে পুকুরগুলোর মাছ মেরে ফেলে। এসব পুকুরের পাঙাশ, মনোসেক্স তেলাপিয়া, রুই, মৃগেলসহ শত শত মণ মাছ মারা গেছে। পাঙাশগুলোর ওজন দেড় থেকে আড়াই কেজির মতো। কয়েকটি রুই, মৃগেল ও চিতল মাছের ওজন ৮ থেকে ১০ কেজি।
.
স্থানীয় পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী ইব্রাহিম বিশ্বাস বলেন, কয়েকদিন আগে তিনটি পুকুরের মাছের দাম ৫০ লাখ টাকা বলেছিলেন। কিন্তু বেনজির আহমেদ বাচ্চু বিক্রি করেননি।
.
ভুক্তভোগী বেনজির আহমেদ বাচ্চুর ভাষ্য, পুকুর তিনটিতে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মাছ ছিল। পাঙাশ-মনোসেক্স তেলাপিয়ার পাশাপাশি ৮ থেকে ১২ কেজি ওজনের চিতল, রুই ও মৃগেল মাছও ছিল। বিষ দিয়ে সবই শেষ করে দিয়েছে।
.
দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, এ বিয়ষে অভিযোগ পেয়েছেন। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
.
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দৌলতপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমদ বলেন, পুকুরগুলোতে প্রায় ১২ হাজার কেজি পাঙাশসহ দেশীয় নানা মাছ ছিল। এগুলোর দুই থেকে সাড়ে ৩ কেজি পর্যন্ত ওজন ছিল। পুকুরের কাদা ও পানি পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অ্যামোনিয়া গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করা হয়েছে। পানি অক্সিজেনশূন্য হয়ে মাছগুলো মারা গেছে।
প্রিন্ট