আব্দুল হামিদ মিঞাঃ
রাজশাহীর বাঘায় আ.লীগ নেতা আখতার রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় বাঘা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
.
বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার বাঘা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঘা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য এবং দৈনিক দিনকাল ও দৈনিক রাজবার্তার বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি ফজলুর রহমান মুক্তা সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে বলেন, আমি একজন সিনিয়র সাংবাদিক। আমার বিরুদ্ধে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আখতার রহমান কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে ব্যক্তিগত ঘটনার মিমাংসা করতে গিয়ে আমাকে পাঁচ বছর আগে ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন বলে একটি অনলাইন নিউজ পোটালে ও ফেসবুকে প্রচার করে। প্রকৃত পক্ষে তিনি আমাকে কোন টাকা ধার দেয়নি। উল্টো আমার কাছে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
.
সাংবাদিক ফজলুর রহমান মুক্তা বলেন, চলতি এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে একটি কেন্দ্রে কোন অনুমতি না নিয়ে উত্তর পত্র (খাতা) এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার দাবি করে এক তার এক সহকর্মী কক্ষে গিয়ে ছবি তুলেন। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছবি তুলতে নিষেধ করেন। পরে সহকর্মীর পক্ষ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়ে আখতার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দুই লক্ষ টাকার ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ করেন। এটা নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ফজলুর রহমান মুক্তা পরীক্ষা কেন্দ্রের ছবি তোলার বিষয়ে আখতার রহমানের কাছে জানতে চান। এ বিষয় নিয়ে মুক্তাকে নিয়ে আখতার রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করে বিএনপি নেতা আখ্যা দিয়ে হুমকি দেন।
.
সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তার দাবি আখতার রহমান আওয়ামী রাজনৈতিকের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও নিজেকে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে দাবি করে আমাকে বিএনপির নেতা বানিয়ে দলের সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা দাবি করেন। মুক্তার দাবি ১৬ বছর যাবত সাংবাদিক পেশায় আছি। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি কিংবা অপসাংবাদিকতার কোন অভিযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে একজন হলুদ সাংবাদিক আখতার রহমানের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। যারা ভূক্তভোগী তারাই ভাল যানেন। আখতার রহমান নিজেকে পেশাদার সাংবাদিক দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে সরকার তথা রাজনৈতিক দলসহ বেসরকারি দপ্তর সমূহের নিজে মনগড়া কথা লিখে মানুষকে বোকা বানিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ অভিযোগও সংবাদ সম্মেলনে মুক্তা অভিযোগ করেন।
এছাড়া এশিয়ান টেলিভিশনে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৭২ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
.
এর আগে চাঁদা চাওযায় আখতার রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, ঝাড়– মিছিল ও বিভিন্ন পত্রিকায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশ হয়।
আখতার রহমানকে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য, পেশাদার বাটপার, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, হলুদ সাংবাদিক আখ্যায়িত করে মুক্তা বলেন, তার নিজের অপরাধ ঢাকতে আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। যা আদো সত্য না ভিক্তিহীন, বানোয়াট মিথ্যা। এর আগে আখতার রহমান নিয়ম বহির্ভূত কাজ করায় বাঘা প্রেস ক্লাব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
.
এই সংবাদ সম্মেলনে এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোটার হিসেবে আকতার রহমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন মুক্তা।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বলেন, আখতার রহমান যে কাজটি করেছেন তা নিন্দনীয়।
প্রিন্ট