কমরেড খোন্দকারঃ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইতালির বেরগামো শহরে আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ আলোচনা ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা মাতৃভাষা রক্ষার গুরুত্ব এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ করেন।
রবিবার বেরগামো শহরের একটি স্থানীয় কনফারেন্স হলে দুলাল করাতির সভাপতিত্বে এবং সুমন ঢালী ও দেলোয়ার হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, বিশেষ অতিথি ইতালি আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাবিব চৌধুরী, প্রধান বক্তা ইতালি আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম দেওয়ান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি মাইলফলক। ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের সকলের জন্য একটি স্মরণীয় দিন, কারণ এটি কেবল বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের দিন নয়, এটি পৃথিবীজুড়ে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের মর্যাদার প্রতীক।”
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। তারা উল্লেখ করেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা পৃথিবীতে মাতৃভাষার উন্নতি ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া, সভায় বক্তারা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাতৃভাষা, বাংলা ভাষা সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইতালি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কমরেড খোন্দকার, এম এ জলিল, নুরুল ইসলাম, তরিনো আ’লীগের সভাপতি রশিদ পেদা, আনকোরা আ’লীগের সভাপতি ইসরাফিল মল্লিক, তরিনো আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদ, লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহমান খান, প্রচার সম্পাদক মামুন হাওলাদার, বেরগামো আওয়ামী লীগ নেতা শেখ পল্টন, রিপন মোল্লা, মজিবর রহমান আলম, ঢালী রানা, রফিকুল ইসলাম, দিপু মোল্লা, নাসির মাঝি, ছাত্তার শেখ, ফজল শেখ, আলাউদ্দীন সরদার, খোকন দেওয়ান, মিঠু চকিদার, আবু বক্কর, নুরুল ইসলাম ওয়াসিম, ফরহাদ হোসেন হিরু, জহির শেখ প্রমুখ।
সভায় শুরুতেই ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা, দেশের বর্তমান অবৈধ সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে সংগঠিত দেশব্যাপী জঙ্গী কার্যক্রম, ধানমন্ডির ৩২ নাম্বারে হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম নির্যাতন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ইচ্ছাকৃত গ্রেফতার, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, ছিনতাই লুটপাটের মহোৎসব ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে একের পর এক মনগড়া বানোয়াট মামলা প্রদান করায় তার প্রতিবাদ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের দরকার। উনার অবর্তমানে দেশে সংগঠিত সকল অপকর্মের দায়ভার অবৈধ ইউনুস সরকারকে বহন করতে হবে। অনুষ্ঠানে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবিলম্বে জননেত্রীকে স্বসম্মানে দেশে ফিরিয়ে আনার দীপ্ত শপথ নেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রিন্ট