কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো প্রধান

বাংলাদেশে চেপে বসা অবৈধ ইউনূস সরকার কর্তৃক সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড, বাড়িঘরে লুটপাট-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ লাখ লাখ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার ও মানবতাবিরোধী সকল অপরাধের প্রতিবাদ ও মোহাম্মদ ইউনুসের শান্তির ওপর নোবেল বাতিলের দাবিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তর চত্বরের ঐতিহাসিক ভাঙা চেয়ারের পাশে সোমবার (২০ জানুয়ারি ২০২৫) বিকেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের উদ্দোগে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, সংগঠনের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম ও সঞ্চালনা করেন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান। ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ও সর্ব ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন বেপারী, লেখক অমি রহমান পিয়াল, সহ-সভাপতি জাহানারা বাসার, মসিউর রহমান, আশরাফুল ইসলাম আজাদ, বিপুল তালুকদার, মো: মহসীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, মোহাম্মদ আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজা শেখ, সুমন বড়ুয়া, সসীম গৌরী চরণ, মাহবুব হাসান সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল জুনায়েদ, আপ্যায়ন সম্পাদক রশিদ বেপারী, বেলাল চৌধুরী, আজম কাল, ফুয়াদ হাসান, তারেক আল মাহমুদ উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, পলাশ বড়ুয়া, সৈয়দ মান্নান, আশরাফুল আলম লিটন, স্বপন কুমার সাহা, অরুন বড়ুয়া প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রেসিডেন্ট বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। কমিশনের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন। ডাকযোগে নোবেল কমিটি বরাবর মোহাম্মদ ইউনুসের নোবেল বাতিলের যৌক্তিকতা সহ দাবি প্রেরণ করা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে এই অভিযোগ পত্র হস্তান্তর করেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান প্রমুখ।

বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসা ইউনূসগং যে সংখ্যালঘুদের, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যা এবং তাঁদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট ও দখলসহ মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ করেছে এবং করে চলছে, তার তথ্য প্রমাণ অভিযোগ পত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।