মোঃ রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি
মাগুরা শালিখা উপজেলরার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের আপন বড় ভাইয়ের শালার কন্যাকে মাগুরা থেকে এ্যাফিডেভিট করে কম বয়স কে, বেশি বয়স দেখিয়ে বাল্য বিবাহ ও বরযাত্রীদের নিয়ে বিয়ের ধুমধাম ও খাবারের আয়োজন করেছে।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারি দুপুর ২ টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অপ্রাপ্ত মোছাঃ বর্ষা খাতুন কে মিঠুন হোসেন বাপ্পীর সাথে আইন বহির্ভুত নোটারি পাবলিক এ্যাফিডেভিট স্টাম্পের পিছে নাম ও তারিখ ছাড়া ষ্টাম্পে মাগুরা জজ আদালতের এ্যাডভোকেট আবু আয়ুব এর স্বাক্ষরিত নোটারী পাবলিক এ্যাফিডেভিট এর মাধ্যমে বাল্য বিবাহ সম্পূর্ন করে নিজ বাড়ীতে বর যাত্রীদের কে নিয়ে ধুুমধামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এবিষয় টি তাৎক্ষণিক শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ কে জানালে প্রথমে তিনি গড়িমসি করেন, এবং মুঠোফোনে সাংবাদিককে শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কে ফোন দিতে বলেন।
সাংবাদিক শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসিকে বাল্য বিবাহের বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিক তিনি এস আই রবিউলের নাম্বারটি দেন। এস আই রবিউল ইসলাম বিবাহর স্পটে গিয়ে সাংবাদিক কে বলেন চেয়ারম্যান সাহেবের মান রক্ষার্থে আপনি আমাদের সঙ্গে চলে আসেন, এই বলে সাংবাদিকের হাত ধরে নিয়ে চলে আসেন।
পুনারায় সাংবাদিকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজকে জানালে, তিনি বলেন আমি শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কে বিষয় টি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলছি। তখন শালিখা থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি পুনরায় এসআই রবিউল ইসলাম কে বাল্য বিয়ের স্পটে পাঠান। কিন্তু এসআই রবিউল ইসলাম বিয়ের কন্যার বাড়িতে এসে কোন কথা বা ঘটনা তদন্ত না করে গড়িমসি কথা বলেন, সাংবাদিকদের সাথে অবহেলাজনক আচারন করে দ্রুত তার সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে চলে যায়।
সরকার যেখানে বাল্য বিবাহ কে একটি সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধ হিসাবে আইন করেছেন সেখানে এসআই রবিউল ইসলামের কেনইবা এই অবহেলা? এমনকি অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম নিজের ক্ষতার অপব্যবহার করে, নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই বাল্য বিবাহের সহযোগিতা করছে।
কেন আইনের দায়িত্ব ব্যক্তিদের এই অবহেলা। অত্র বাল্যবিবাহের সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং দায়িত্বরত এসআই রবিউল ইসলামসহ গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আব্দুল হালিমের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।
প্রিন্ট