সাজেদুর রহমানঃ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে কমে গেছে। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর দিয়ে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব দেখা যাচ্ছে। দু-দেশ পাল্টাপাল্টি বিধিনিষেধ আরোপ করায় বেনাপোল বন্দরে কমেছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বছর ব্যবধানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ৬ লাখ টন এবং রপ্তানি ৭৫ হাজার টনের বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ৩০ হাজার ২২৮ টন পণ্য। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ টন কমে তা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ টনে। অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি হয়েছিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৭২ টন বাংলাদেশি পণ্য। আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৭৫ হাজার ২৩২ টন কমে হয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৪০ টন।
বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্য কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। বাণিজ্য হ্রাস পাওয়ায় কমে গেছে কাজকর্ম, ফলে আয়ও কমে গেছে। দু-দেশের মধ্যে বিধিনিষেধ আরোপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষতির মুখে থাকা ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, এই বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সিংহভাগ বাণিজ্য সম্পন্ন হলেও ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর কমেছে পণ্যবাহী ট্রাকের আসা-যাওয়া। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয়েও প্রভাব পড়েছে। এতে শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতেও ক্ষতি হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, বেশ কিছু পণ্যে সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, যার অধিকাংশ উৎপাদন হয় দেশেই। এসব পণ্য আমদানি না করায় স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০ থেকে ২৩০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হতো। এখন তা নেমে এসেছে ৪০০ ট্রাক ও ১০০ ট্রাকের নিচে।
প্রিন্ট