ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৫আগস্টের মতো রাজপথে নামতে হবে

জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সোমবার বিএনপির সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দিয়ে বললেন, ভোটের অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিজের অধিকার আদায়ে সবাইকে ৫ আগস্টের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসতে হবে। দেশের সংস্কার চান, নাকি হাসিনার নৌকায় যাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণের।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও যোগ করে বলেন, অনেকে বলে বিএনপিতো পারে নাই, কিন্তু বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেইতো ছাত্র-জনতা হাসিনাকে বিদায় দিতে পেরেছে। তোমরা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছ বলে সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

 

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ভোট দেয়ার জন্য, ভালো থাকার জন্য, কম দামে খাওয়ার জন্য, মা বোনদের কাপড়ের জন্য, ভালো অর্থনীতি চেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল শেখ মুজিব বড় নেতা, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষ শান্তি পায়নি। যে দলটাকে সাধারণ মানুষ ভালোবাসতো, কিন্তু তারাই জনগণের ওপর চড়াও হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। তাদের দুর্নীতি, নির্যাতন, খুন-গুমের কারণে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিল।

 

বিএনপির এ নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। শেয়ালকে যদি মুরগির খাঁচায় ঢোকানো হয় তাহলে কি হবে, ঠিক সেরকমই করে নিজেরা ঢুকে ভোট দিয়ে দিত, জনগণকে ভোট দিতে দিত না।

 

ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় উগ্রবাদ মোকাবিলা ও প্রতিহত করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

‘বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কৃষক, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হবে। আর গায়েবি মামলা হবে না’ বলেও যোগ করেন এ নেতা।

 

ফখরুল ইসলাম বলেন, অনেকে যারা দ্বায়িত্বশীল যায়গায় আছেন, তাদের উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করতে হবে। দ্বায়িত্বশীল যায়গায় বসে ভুল কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। দেশের মানুষ অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে এবার শান্তি চায়। মানুষ নির্বাচন চায়, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোট চাইতে আসি নাই। দেশ, মাটি, মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ৫আগস্টের মতো রাজপথে নামতে হবে

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :

জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে সোমবার বিএনপির সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যোগ দিয়ে বললেন, ভোটের অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিজের অধিকার আদায়ে সবাইকে ৫ আগস্টের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসতে হবে। দেশের সংস্কার চান, নাকি হাসিনার নৌকায় যাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণের।

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আরও যোগ করে বলেন, অনেকে বলে বিএনপিতো পারে নাই, কিন্তু বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেইতো ছাত্র-জনতা হাসিনাকে বিদায় দিতে পেরেছে। তোমরা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছ বলে সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

 

তিনি আরও যোগ করে বলেন, ভোট দেয়ার জন্য, ভালো থাকার জন্য, কম দামে খাওয়ার জন্য, মা বোনদের কাপড়ের জন্য, ভালো অর্থনীতি চেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল শেখ মুজিব বড় নেতা, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষ শান্তি পায়নি। যে দলটাকে সাধারণ মানুষ ভালোবাসতো, কিন্তু তারাই জনগণের ওপর চড়াও হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। তাদের দুর্নীতি, নির্যাতন, খুন-গুমের কারণে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিল।

 

বিএনপির এ নেতা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। শেয়ালকে যদি মুরগির খাঁচায় ঢোকানো হয় তাহলে কি হবে, ঠিক সেরকমই করে নিজেরা ঢুকে ভোট দিয়ে দিত, জনগণকে ভোট দিতে দিত না।

 

ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় উগ্রবাদ মোকাবিলা ও প্রতিহত করতে হবে বলেও জানান তিনি।

 

‘বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কৃষক, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হবে। আর গায়েবি মামলা হবে না’ বলেও যোগ করেন এ নেতা।

 

ফখরুল ইসলাম বলেন, অনেকে যারা দ্বায়িত্বশীল যায়গায় আছেন, তাদের উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করতে হবে। দ্বায়িত্বশীল যায়গায় বসে ভুল কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। দেশের মানুষ অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে এবার শান্তি চায়। মানুষ নির্বাচন চায়, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোট চাইতে আসি নাই। দেশ, মাটি, মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।


প্রিন্ট