ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়া শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ। শুকিয়ে যাওয়া গড়ায়ের তীরে নদী তীরবর্তী এলাকার সৌখিন চাষিরা লম্বা লাইনে সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছে হরেক রকমের সবজি। দেখে মনে হচ্ছে হলুদ সবুজের এক টুকরো মানচিত্র।
জৈব সার ব্যবাহারে সবজির ব্যাপক ফলনে একদিকে পরিবারের চাহিদা মিটছে অন্যদিকে কীটনাশক মুক্ত সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে । সহস্রাধিক সৌখিন চাষিরা চর থানানাপাড়া, আমলা পাড়া, ঘোড়র ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে জৈব সার ব্যবহার করে সনাতন পদ্ধতিতে এ চাষাবাদ করছে।
সৌখিন চাষী জহুরুল ইসলাম বলেন,আমি সারাদিন ভ্যান চালাই এর মধ্যে যতটুকু সময় পাই,বাড়ির সামনে গড়াই নদীর তীরে পানি না থাকাই ছোট্ট পরিসরে চাষাবাদ করি।
এখানে সামান্য জায়গাতে সরিষা, পালন শাক, লাল শাক ও রশুনের চারা রোপন করেছি। শীত মৌসুমে গড়াইয়ে পানি না থাকায় এখানে চাষ করে যে পরিমাণ সবজি হয় তা দিয়ে চলতি মৌসুমে আমার পরিবারের সবজির চাহিদা মিটে যায়।
ফাহিমা খাতুন বলেন, বাড়ির সামনে গড়াই নদী। শীতকালে নদীতে পানি শুকিয়ে যায়। এই সময়টিতে আমরা নদীর কিনারায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সবজি আবাদ করি। এই সবজিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে অনেক সুস্বাদু হয়। আমরা সখের বসে এ চাষাবাদ করে থাকি।
কুষ্টিয়া সদর উপজলো কৃষি অফিসার রুপালি খাতুন জানান, এমন উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসিত। পড়ে থাকা জমিতে যদি জৈব সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরন করে এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় পরিসরে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলছেন এ সব সৌখিন চাষিরা।
প্রিন্ট