ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দেশের উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন Logo সিরাজগঞ্জে ২ দিনব্যাপী দেশি হাঁস-মুরগী পালন বিষয়ক অনাবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন Logo লালপুরের কৃতি ফুটবলার গণেশ চন্দ্র আর নেই Logo লালপুরে উপজেলা বিএনপির হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো স্কুলের জায়গায় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় নির্মাণ চেষ্টা Logo ঘন কুয়াশায় ২ ট্রাকের সংঘর্ষের পর আরও ৪ ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১ Logo বালিয়াকান্দিতে উপজেলা পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন Logo দুদকের মামলার আসামি হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের অসাধু চক্র Logo যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা বেশিরভাগই নারীঃ মুকসুদপুরে জমে উঠেছে ‘বৌ বাজার’ Logo শুকিয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ Logo ফরিদপুরে ‌ডিবি পুলিশের অভিযানে দুই কেজি গাঁজা সহ একজন গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

শুকিয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়া শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ। শুকিয়ে যাওয়া গড়ায়ের তীরে নদী তীরবর্তী এলাকার সৌখিন চাষিরা লম্বা লাইনে সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছে হরেক রকমের সবজি। দেখে মনে হচ্ছে হলুদ সবুজের এক টুকরো মানচিত্র।

 

জৈব সার ব্যবাহারে সবজির ব্যাপক ফলনে একদিকে পরিবারের চাহিদা মিটছে অন্যদিকে কীটনাশক মুক্ত সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে । সহস্রাধিক সৌখিন চাষিরা চর থানানাপাড়া, আমলা পাড়া, ঘোড়র ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে জৈব সার ব্যবহার করে সনাতন পদ্ধতিতে এ চাষাবাদ করছে।

 

সৌখিন চাষী জহুরুল ইসলাম বলেন,আমি সারাদিন ভ্যান চালাই এর মধ্যে যতটুকু সময় পাই,বাড়ির সামনে গড়াই নদীর তীরে পানি না থাকাই ছোট্ট পরিসরে চাষাবাদ করি।

 

এখানে সামান্য জায়গাতে সরিষা, পালন শাক, লাল শাক ও রশুনের চারা রোপন করেছি। শীত মৌসুমে গড়াইয়ে পানি না থাকায় এখানে চাষ করে যে পরিমাণ সবজি হয় তা দিয়ে চলতি মৌসুমে আমার পরিবারের সবজির চাহিদা মিটে যায়।

 

ফাহিমা খাতুন বলেন, বাড়ির সামনে গড়াই নদী। শীতকালে নদীতে পানি শুকিয়ে যায়। এই সময়টিতে আমরা নদীর কিনারায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সবজি আবাদ করি। এই সবজিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে অনেক সুস্বাদু হয়। আমরা সখের বসে এ চাষাবাদ করে থাকি।

 

কুষ্টিয়া সদর উপজলো কৃষি অফিসার রুপালি খাতুন জানান, এমন উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসিত। পড়ে থাকা জমিতে যদি জৈব সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরন করে এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় পরিসরে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলছেন এ সব সৌখিন চাষিরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের উন্নয়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন

error: Content is protected !!

শুকিয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ

আপডেট টাইম : ২ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়া শহরের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গড়াই নদীর তীরে হলুদ সবুজের সমারোহ। শুকিয়ে যাওয়া গড়ায়ের তীরে নদী তীরবর্তী এলাকার সৌখিন চাষিরা লম্বা লাইনে সনাতন পদ্ধতিতে চাষ করছে হরেক রকমের সবজি। দেখে মনে হচ্ছে হলুদ সবুজের এক টুকরো মানচিত্র।

 

জৈব সার ব্যবাহারে সবজির ব্যাপক ফলনে একদিকে পরিবারের চাহিদা মিটছে অন্যদিকে কীটনাশক মুক্ত সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি হচ্ছে । সহস্রাধিক সৌখিন চাষিরা চর থানানাপাড়া, আমলা পাড়া, ঘোড়র ঘাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে জৈব সার ব্যবহার করে সনাতন পদ্ধতিতে এ চাষাবাদ করছে।

 

সৌখিন চাষী জহুরুল ইসলাম বলেন,আমি সারাদিন ভ্যান চালাই এর মধ্যে যতটুকু সময় পাই,বাড়ির সামনে গড়াই নদীর তীরে পানি না থাকাই ছোট্ট পরিসরে চাষাবাদ করি।

 

এখানে সামান্য জায়গাতে সরিষা, পালন শাক, লাল শাক ও রশুনের চারা রোপন করেছি। শীত মৌসুমে গড়াইয়ে পানি না থাকায় এখানে চাষ করে যে পরিমাণ সবজি হয় তা দিয়ে চলতি মৌসুমে আমার পরিবারের সবজির চাহিদা মিটে যায়।

 

ফাহিমা খাতুন বলেন, বাড়ির সামনে গড়াই নদী। শীতকালে নদীতে পানি শুকিয়ে যায়। এই সময়টিতে আমরা নদীর কিনারায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সবজি আবাদ করি। এই সবজিতে জৈব সার ব্যবহারের ফলে অনেক সুস্বাদু হয়। আমরা সখের বসে এ চাষাবাদ করে থাকি।

 

কুষ্টিয়া সদর উপজলো কৃষি অফিসার রুপালি খাতুন জানান, এমন উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসিত। পড়ে থাকা জমিতে যদি জৈব সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা পূরন করে এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বড় পরিসরে চাষাবাদ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলছেন এ সব সৌখিন চাষিরা।


প্রিন্ট