গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে ৩৭৫ নমুনা পরীক্ষার মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৬৭ জন আর এই সময়ে করোনায় মারা গেছে তিন জন। এদের মধ্যে দুই জন করোনা উপসর্গ নিয়ে এবং একজন করোনা শনাক্ত হয়ে। জেলায় এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ প্রাণহানি হয়েছে ২১২জনের।
এদিকে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ফরিদপুরের চার পৌর শহরের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ৬ষ্ঠ তম দিন চলছে। নতুন করে জেলার সদরপুর এলাকাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে।
করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা, মধুখালী পৌর শহর এবং সদরপুর উপজেলা এলাকায় এই বিধি নিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন।
এই সকল এলাকার সকল ধরনের যানচলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন সড়কে বসানো হয়েছে পুলিশের তল্লাসী চৌকি।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানায়, ফরিদপুর পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭৫ টি এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৬৭। আক্রান্তের হার ৪৪.৩৩ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১২ হাজার ২৮০জন, সুস্থ হয়েছে ১০ হাজার ৮১৭ জন।
তিনি বলেন, মধুখালী উপজেলার শহীদুল ইসলাম (৬০) নামের এক ব্যক্তি করোনায় মারা গেছেন। এছাড়ও করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া দুজন হলেন নগরকান্দা উপজেলার সুকণ্ঠ বিশ্বাস (৬৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার ছোয়াদ আলী চৌধুরী (৮০)।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবাধায়ক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, জেলার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা শনাক্ত হয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি আছেন ১১৭ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ১৪ জন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আরও ২৬ জন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, মহামারির এই সমেয় আমরা সকলেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল না হলে চরম মূল্য দিতে হবে। এই জন্য সকলকেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, জেলায় সর্বত্র চেষ্টা করা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার এবং মানুষকে নিরাপদে রাখতে। আর এই জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রিন্ট