পূর্ব লন্ডনের একটি ভেন্যুতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও কর্মীরা সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী শাহরিয়ার কবিরের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপীয় বাংলাদেশ ফোরাম আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তারা শাহরিয়ার কবিরের গ্রেফতার এবং বাংলাদেশে মানবাধিকারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আয়োজনটির মূল বক্তা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সিনিয়র গবেষক এবং বর্তমানে এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্বাস ফয়েজ, আবেগের সঙ্গে শাহরিয়ার কবিরের মামলার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, শাহরিয়ার কবির দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনামূলক মতামত প্রকাশের জন্য আইনি নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং ২০০১ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাকে “বিবেকের বন্দী” হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
আব্বাস ফয়েজ জোর দিয়ে বলেন, শাহরিয়ার কবিরের বর্তমান গ্রেপ্তার মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে হয়েছে, যা তার জামাত-ই-ইসলামীসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে করা সমালোচনামূলক লেখা থেকে উদ্ভূত। তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং বাংলাদেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সকলকে আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনটি শাহরিয়ার কবিরের আদালতে উপস্থিতির সময় সহিংসতার বিরক্তিকর রিপোর্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আব্বাস ফয়েজ বলেন, এটি বেআইনি এবং অবিলম্বে তদন্তের প্রয়োজন। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চার দফা সুপারিশ পেশ করেন:
১. শাহরিয়ার কবিরকে জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা।
২. আদালতে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা।
৩. বানোয়াট অভিযোগ প্রত্যাহার করা।
৪. একাধিক অভিযোগ একত্রিত করে একটি ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুনঃ গাজনা আশাপুর আদর্শ ইউনিয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ
অনুষ্ঠানে সেক্যুলার বাংলাদেশ মুভমেন্টের পুষ্পিতা গুপ্তা, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মুক্তিযোদ্ধা এম এ হাদি, কূটনৈতিক সংবাদদাতা ডানকান বার্টলেট, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, এবং রেডব্রিজের সাবেক মেয়র রায় এমমেট সহ অন্যান্য বক্তারা বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং শাহরিয়ার কবিরের প্রতি তাদের একাত্মতা জানান। কনফারেন্সে বাংলাদেশের সাংবাদিক এবং মানবাধিকার রক্ষকরা তাদের চলমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরেন।
প্রিন্ট