ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজস

পাংশার কলিমহর ইউপিতে সরকারী বরাদ্দের ঘরসহ জমি বিক্রি করা নিয়ে চাঞ্চল্য

পাংশার কলিমহর ইউপির চর কলিমহর গ্রামে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাপিয়া পারভীনের নামে বরাদ্দের সরকারী ঘর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাংশার কলিমহর ইউপির চর কলিমহর গ্রামের কাশেম শেখের স্ত্রী পাপিয়া পারভীনের নামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দের ১টি ঘর নির্মাণ করে দেন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার হোসেন।

ঘরটি নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল কলিমহর গ্রামে পাপিয়া পারভীনের নামীয় জমির উপর। সরকারী ঘর পেতে কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা গুণতে হয় পাপিয়া পারভীনকে। ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেন সুবিধাভোগী পাপিয়া পারভীনের নিকট থেকে উক্ত টাকা নেয়।

জানা যায়, তথ্য গোপন করে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজসে সরকারী বরাদ্দের উক্ত ঘর পাপিয়া পারভীনের নামীয় জমির উপর নির্মাণ না করে চর কলিমহর মৌজায় স্বামী কাশেম শেখের জমির উপর সরকারী বরাদ্দের ঘর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি পাপিয়া পারভীনের স্বামী কাশেম শেখ সরকারী বরাদ্দের নির্মিত ঘরের জায়গাসহ তার নামীয় মোট ১৯ শতাংশ জমি বিক্রির জন্য প্রতিবেশী আব্দুল জলিল বিশ্বাসের সাথে বায়না করেন। সরকারী বরাদ্দের ঘরের জায়গাসহ জমি বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

তথ্যানুসন্ধ্যানে শুক্রবার ২৫ জুন বিকেলে সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে পাপিয়া পারভীন জানান, কলিমহর গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়ী। সেখান থেকে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনি তাকে একটি সরকারী ঘর করে দেন। ঘরের জন্য কয়েক দফায় ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন সুবিধাভোগী পাপিয়া পারভীন। তবে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি তার স্বামী কাশেম শেখকে জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি।

কুষ্টিয়া অবস্থানরত পাপিয়া পারভীনের স্বামী কাশেম শেখ মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিবেশী জলিল বিশ্বাসের নিকট ১৯ শতাংশ জমি ১১ লাখ টাকা বিক্রির বায়না করা হয়। বাড়ী করার জন্য উপযুক্ত জমি ক্রয়ে বিলম্ব হওয়ায় জমি বিক্রির বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে।

এদিকে, ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজসে তথ্য গোপন করে সরকারী বরাদ্দের ঘর নির্মাণ এবং উক্ত ঘরের জায়গা বিক্রি করা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেন বলেন, সরকারী ঘর পেতে কোনো টাকা লাগে না। পাপিয়া পারভীনের নিকট থেকে টাকা নেওয়া ও তথ্য গোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেন নি।

প্রসঙ্গত ঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর-কাবিখা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাপিয়া পারভীনের নামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দে ১টি গৃহ নির্মাণ করা হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজস

পাংশার কলিমহর ইউপিতে সরকারী বরাদ্দের ঘরসহ জমি বিক্রি করা নিয়ে চাঞ্চল্য

আপডেট টাইম : ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
মোঃ মোক্তার হোসেন, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধিঃ :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাংশার কলিমহর ইউপির চর কলিমহর গ্রামের কাশেম শেখের স্ত্রী পাপিয়া পারভীনের নামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দের ১টি ঘর নির্মাণ করে দেন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার হোসেন।

ঘরটি নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল কলিমহর গ্রামে পাপিয়া পারভীনের নামীয় জমির উপর। সরকারী ঘর পেতে কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা গুণতে হয় পাপিয়া পারভীনকে। ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেন সুবিধাভোগী পাপিয়া পারভীনের নিকট থেকে উক্ত টাকা নেয়।

জানা যায়, তথ্য গোপন করে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজসে সরকারী বরাদ্দের উক্ত ঘর পাপিয়া পারভীনের নামীয় জমির উপর নির্মাণ না করে চর কলিমহর মৌজায় স্বামী কাশেম শেখের জমির উপর সরকারী বরাদ্দের ঘর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি পাপিয়া পারভীনের স্বামী কাশেম শেখ সরকারী বরাদ্দের নির্মিত ঘরের জায়গাসহ তার নামীয় মোট ১৯ শতাংশ জমি বিক্রির জন্য প্রতিবেশী আব্দুল জলিল বিশ্বাসের সাথে বায়না করেন। সরকারী বরাদ্দের ঘরের জায়গাসহ জমি বিক্রির বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

তথ্যানুসন্ধ্যানে শুক্রবার ২৫ জুন বিকেলে সরজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে পাপিয়া পারভীন জানান, কলিমহর গ্রামে তার পৈত্রিক বাড়ী। সেখান থেকে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে পূর্ব পরিচয়ের কারণে তিনি তাকে একটি সরকারী ঘর করে দেন। ঘরের জন্য কয়েক দফায় ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন সুবিধাভোগী পাপিয়া পারভীন। তবে ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি তার স্বামী কাশেম শেখকে জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি।

কুষ্টিয়া অবস্থানরত পাপিয়া পারভীনের স্বামী কাশেম শেখ মোবাইল ফোনে জানান, প্রতিবেশী জলিল বিশ্বাসের নিকট ১৯ শতাংশ জমি ১১ লাখ টাকা বিক্রির বায়না করা হয়। বাড়ী করার জন্য উপযুক্ত জমি ক্রয়ে বিলম্ব হওয়ায় জমি বিক্রির বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে।

এদিকে, ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেনের সাথে যোগসাজসে তথ্য গোপন করে সরকারী বরাদ্দের ঘর নির্মাণ এবং উক্ত ঘরের জায়গা বিক্রি করা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইউপি মেম্বার আক্তার হোসেন বলেন, সরকারী ঘর পেতে কোনো টাকা লাগে না। পাপিয়া পারভীনের নিকট থেকে টাকা নেওয়া ও তথ্য গোপনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেন নি।

প্রসঙ্গত ঃ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টিআর-কাবিখা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে পাপিয়া পারভীনের নামে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা বরাদ্দে ১টি গৃহ নির্মাণ করা হয়।


প্রিন্ট