ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo শহীদ সাগরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ শোক আর শূণ্যতায় কাতর বাবা-মা Logo ভাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় উপজেলা জামায়াত আমিরসহ নিহত ৩ Logo তানোরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায় হাটুরে সেলুন Logo গোপালগঞ্জে নিহতের সংখ্যা পাঁচঃ তিন মামলায় আসামি আড়াই হাজার Logo জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল Logo যশোরে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের ১৬৫তম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নগরকান্দায় রাতে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আধারে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নীল কন্ঠ সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে পুরাপাড়া ইউনিয়নের বাগাট থেকে ছোট কুমারদিয়া গ্রাম অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কারে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়। পুরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের খামখেয়ালি পানায় প্রকল্পের রাস্তা বাদ দিয়ে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে ভ্যেকু দিয়ে রাতের আধারে নতুন রাস্তা নির্মান শুরু করেন।

ভুক্তভোগী নীল কন্ঠ সরকার বলেন, আমার এখানে ৪২ শতাংশ জায়গায় আড়াই শত টি মেহোগনি গাছের বাগান করেছি। চেয়ারম্যান আমার উপর শত্রুতা করে রাতের আধারে আমার বাগানের গাছ ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। যেখানে রাস্তার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে সেখানে চেয়াম্যানের এবং তার ভাগীনার জায়গা। তাই নিজেদের জমি বাদ দিয়ে আমার জায়গার মাঝখান দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শম্পা বেগমকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন তার স্বামী গ্রাম পুলিশ মিন্টু মিয়া। তিনি জানান শম্পা এখন কথা বলবে না। আমার স্ত্রীর সকল কাজ আমি দেখাশুনা করি। চেয়ারম্যানের নির্দেশেই কাজটি করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান আঃ সোবহান মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন ০১৭১৮ ০০ ৭৫ ৬১ নম্বরে বার বার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। সাংবাদিকের ফোন বুঝতে পেয়ে পরে মোবাবাইলটি বন্ধ করে রাখেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। তিনি জানান উক্ত জমিতে টিআর কর্মসুচীর প্রকল্পের আওতার বাইরে। আমাদের প্রকল্প অন্য জায়গায়। চেয়ারম্যান সাহেব কাজটি ভুল করেছেন তাই কাজটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা

error: Content is protected !!

নগরকান্দায় রাতে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৩:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
বোরহানুজ্জামান আনিস, স্টাফ রিপোর্টারঃ :

ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আধারে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নীল কন্ঠ সরকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে পুরাপাড়া ইউনিয়নের বাগাট থেকে ছোট কুমারদিয়া গ্রাম অভিমুখে মাটির রাস্তা সংস্কারে ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়। পুরাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের খামখেয়ালি পানায় প্রকল্পের রাস্তা বাদ দিয়ে সংখ্যালঘুর জায়গা দখল করে ভ্যেকু দিয়ে রাতের আধারে নতুন রাস্তা নির্মান শুরু করেন।

ভুক্তভোগী নীল কন্ঠ সরকার বলেন, আমার এখানে ৪২ শতাংশ জায়গায় আড়াই শত টি মেহোগনি গাছের বাগান করেছি। চেয়ারম্যান আমার উপর শত্রুতা করে রাতের আধারে আমার বাগানের গাছ ভেকু দিয়ে ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। যেখানে রাস্তার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে সেখানে চেয়াম্যানের এবং তার ভাগীনার জায়গা। তাই নিজেদের জমি বাদ দিয়ে আমার জায়গার মাঝখান দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। এতে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য শম্পা বেগমকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন তার স্বামী গ্রাম পুলিশ মিন্টু মিয়া। তিনি জানান শম্পা এখন কথা বলবে না। আমার স্ত্রীর সকল কাজ আমি দেখাশুনা করি। চেয়ারম্যানের নির্দেশেই কাজটি করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যান আঃ সোবহান মিয়াকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোন ০১৭১৮ ০০ ৭৫ ৬১ নম্বরে বার বার ফোন দিলে রিসিভ করেননি। সাংবাদিকের ফোন বুঝতে পেয়ে পরে মোবাবাইলটি বন্ধ করে রাখেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। তিনি জানান উক্ত জমিতে টিআর কর্মসুচীর প্রকল্পের আওতার বাইরে। আমাদের প্রকল্প অন্য জায়গায়। চেয়ারম্যান সাহেব কাজটি ভুল করেছেন তাই কাজটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।


প্রিন্ট