ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন Logo রাজশাহী রেঞ্জ ও জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন গোদাগাড়ী থানার রুহুল আমিন Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে —ডঃ হামিদুর রহমান Logo বায়তুন নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ফ্রি ওমরাহ পালন: মানবসেবায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত Logo আলমডাঙ্গার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মহেশপুরের সায়ের আলি মারা গেছে Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‌ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ‌ অবস্থান কর্মসূচি ‌ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফরিদপুরে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল তিনটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

ঝিলটুলির একটি বাড়ির মূল ফটক আটকে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাত্তাহুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার বাড়ির সামনে খালি প্লটটিতে শতনীড় গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দশতলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলেছে। এর ফলে তার বাড়ির মূল ফটকটি বন্ধ হয়ে যায় এবং যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে ফাত্তাহুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন তার আপন বোন শরিফা বেগম, বিলকিস আরা বেগম, ভাই মতিন উদ্দিন আহমেদ, বাড়ির মালিকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ বাসিত টিপু, তার স্ত্রী সানজিদা বাসিত, মামি রত্না বেগম এবং মামাতো বোন হাফসা বেগম।

 

ফাত্তাহুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন যে, শতনীড় গ্রুপ তৎকালীন আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সহযোগিতায় এই অবৈধ নির্মাণ প্রাচীরটি গড়ে তুলেছিল। তিনি জানান, তৎকালীন সরকারের আমলে ডিসি ও এসপির নিকট অভিযোগ করার পরেও কোনো সমাধান পাননি।

 

তিনি উল্লেখ করেন যে, ০৫-০৮-২০২৪ তারিখে সরকার পতনের পর শতনীড় গ্রুপকে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলতে বলার পরও তারা তা ভাঙেনি। পরবর্তীতে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতিতে কোনো পদ পদবীতে নেই, কেবল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রাচীরের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান

error: Content is protected !!

ফরিদপুরে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
মানিক কুমার দাস, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :

ফরিদপুরে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল তিনটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

ঝিলটুলির একটি বাড়ির মূল ফটক আটকে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাত্তাহুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার বাড়ির সামনে খালি প্লটটিতে শতনীড় গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দশতলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলেছে। এর ফলে তার বাড়ির মূল ফটকটি বন্ধ হয়ে যায় এবং যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে ফাত্তাহুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন তার আপন বোন শরিফা বেগম, বিলকিস আরা বেগম, ভাই মতিন উদ্দিন আহমেদ, বাড়ির মালিকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ বাসিত টিপু, তার স্ত্রী সানজিদা বাসিত, মামি রত্না বেগম এবং মামাতো বোন হাফসা বেগম।

 

ফাত্তাহুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন যে, শতনীড় গ্রুপ তৎকালীন আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সহযোগিতায় এই অবৈধ নির্মাণ প্রাচীরটি গড়ে তুলেছিল। তিনি জানান, তৎকালীন সরকারের আমলে ডিসি ও এসপির নিকট অভিযোগ করার পরেও কোনো সমাধান পাননি।

 

তিনি উল্লেখ করেন যে, ০৫-০৮-২০২৪ তারিখে সরকার পতনের পর শতনীড় গ্রুপকে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলতে বলার পরও তারা তা ভাঙেনি। পরবর্তীতে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতিতে কোনো পদ পদবীতে নেই, কেবল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রাচীরের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।


প্রিন্ট