ফরিদপুরে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল তিনটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম এডভোকেট শামসুদ্দিন মোল্লা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিলটুলির একটি বাড়ির মূল ফটক আটকে অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফাত্তাহুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার বাড়ির সামনে খালি প্লটটিতে শতনীড় গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দশতলা ভবন নির্মাণ করেছে এবং অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলেছে। এর ফলে তার বাড়ির মূল ফটকটি বন্ধ হয়ে যায় এবং যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ফাত্তাহুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন তার আপন বোন শরিফা বেগম, বিলকিস আরা বেগম, ভাই মতিন উদ্দিন আহমেদ, বাড়ির মালিকের ছেলে শাহ মোহাম্মদ বাসিত টিপু, তার স্ত্রী সানজিদা বাসিত, মামি রত্না বেগম এবং মামাতো বোন হাফসা বেগম।
ফাত্তাহুল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন যে, শতনীড় গ্রুপ তৎকালীন আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সহযোগিতায় এই অবৈধ নির্মাণ প্রাচীরটি গড়ে তুলেছিল। তিনি জানান, তৎকালীন সরকারের আমলে ডিসি ও এসপির নিকট অভিযোগ করার পরেও কোনো সমাধান পাননি।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ০৫-০৮-২০২৪ তারিখে সরকার পতনের পর শতনীড় গ্রুপকে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলতে বলার পরও তারা তা ভাঙেনি। পরবর্তীতে তিনি নিজ উদ্যোগে এবং আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রাচীরটি ভেঙে ফেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতিতে কোনো পদ পদবীতে নেই, কেবল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রয়েছি।” তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রাচীরের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার এবং এর সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রিন্ট