ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

১৭৮ বছরে বর্ধমান কেতুগ্রামের সামন্ত পরিবারের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা

সনাতনধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী মা কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায়, তা হলো, পুরাকালে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের দুই দৈত্য পৃথিবীজুড়ে তাদের ভয়ংকর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেবলোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়, তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা মহামায়ার তপস্যা করতে থাকেন। তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কাছে আবির্ভূত হন। আবির্ভূত সেই দেবীই হচ্ছেন কালী।
প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবদ্বীপের এক তান্ত্রিক, যার নাম কৃষ্ণানন্দ, তিনি বাংলায় প্রথম কালীর মূর্তি বা প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন। তার আগে উপাসকেরা তাম্রপটে বা খোদাই করে কালীর সাধনা করতেন বলে জানা যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন এবং এভাবে মা কালীর প্রতিমা পূজার প্রচলন শুরু। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার বিভিন্ন ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।
আসন্ন কালিপূজায় মাতোয়ারা আপামর বাঙালি। এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে সামন্ত বাড়ির কালীপূজা গোটা এলাকাজুড়ে এনেছে এক ভিন্ন মাত্রা। ১৭৮ বছরে পদার্পণ করলো এবারের পূজো। জানা গেছে, ১৭৮ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি দীঘির তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল পাথরের কালীমূর্তি। একই বছর দেবীমূর্তির সাথেই উদ্ধার হয়েছিল একটি সশীষ ডাব। দেবীর স্বপ্নাদেশে প্রথম বছরেই পূজার শেষে পাথরের কালীমূর্তিটি ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাগীরথীর জলে। কিন্তু রয়ে যায় ডাবটি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের অনন্তপুর গ্রামের সামন্ত পরিবারের কালীমন্দিরে এখনও দেবীমূর্তির সাথেই ১৭৮ বছর আগে উদ্ধার হওয়া ডাবটি রেখে পূজা করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস দৈব নির্দেশে প্রাপ্ত ওই ডাব আজও জীবন্ত। সেটি দর্শনে দেবীর আশীর্বাদ মেলে। দেবীমূর্তির সামনে সেই ডাবটি রেখেই সামন্ত পরিবারের পূজা হয়। কেতুগ্রামের ঝামটপুর এবং অনন্তপুর পাশাপাশি গ্রাম।
অনন্তপুর গ্রামের সামন্ত পরিবার এলাকায় সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসাবে পরিচিত। এই পরিবারের সদস্য বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। বর্তমানে তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনাল এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝামটপুর গ্রামে আন্নাকালীদেবী নামে এক সাধিকা ছিলেন। তিনি শক্তির সাধনা করতেন। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, আন্নাকালীদেবীর মা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তাদের বাড়ির কাছে জয়ধারা দীঘির পানির নীচে দেবী অবস্থান করছেন। দেবীর স্বপ্নাদেশ হয, ওই দীঘির অগ্নিকোনে পানির নীচ থেকে দেবীর মূর্তি উদ্ধার করে পূজো শুরু করার। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সেই স্বপ্নাদেশের কথা প্রচার হয়ে যায়। এরপর দিনক্ষণ নির্ধারণ করে শুরু হয় দেবীমূর্তি উদ্ধারের প্রক্রিয়া। ঢাক কাঁসর বাজিয়ে দীঘির পাড়ে হাজির হন গ্রামের লোকজন। আন্নাকালীদেবীর মা দীঘির জলে নামেন। তখনও গ্রামের একাংশ ততটা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অল্প কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় সাধিকামাতা একটি পাথরের কালীমূর্তি কোলে নিয়ে জল থেকে উঠে এলেন। গ্রামবাসীরা দেখেন তার এক হাত বুকে জড়িয়ে ধরা রয়েছে কালীমূর্তিটি। আর অন্যহাতে ধরা একটি সশীষ ডাব। আন্নাকালীদেবীর দিদি মৃগনয়না দেবীর বিয়ে হয়েছিল ঝামটপুর লাগোয়া অনন্তপুর গ্রামের শংকর সামন্তের সঙ্গে।
শংকরবাবুর ছেলে ছিলেন সুধাকর সামন্ত। আন্নাকালীদেবীর নির্দেশেই তার দিদির ছেলে সুধাকর সামন্তকে পরবর্তীতে এই পূজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সুধাকরবাবু নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করেন। অনন্তপুরে তৈরি করা হয় দেবীর মন্দির। সেই মন্দিরেই দেবী পূজিত হয়ে আসছেন।
বর্তমানে সুধাকরবাবুর তিন পুত্র জ্ঞানেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, জিতেন্দ্রনাথ এবং দুই কন্যা ভবানীদেবী ও ইন্দ্রাণীদেবী। ভবানী দেবী সবার বড়। তিনি সঙ্গীতশিল্পী। ভাইবোন সকলে মিলেই এই পূজা করে আসছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বর্তমানে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনাল এর চেয়ারপার্সন। অন্যান্যরাও উচ্চ প্রতিষ্ঠিত। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। কিন্তু কালীপূজার সময় পরিবারের সকলকেই গ্রামের বাড়িতে চলে আসতে হয়।
আলাপকালে রবীন্দ্রনাথবাবু জানান ‘আমাদের পূজায় বলিদান করা হয় না। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরের দিনেই সেই কাঠামো তুলে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। ওই কাঠামো বেদিকে রেখেই সারাবছর নিত্যসেবা হয়। আবার পরের বছর ওই কাঠামোতেই দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করতে হয়। আর সেই ডাবটিকে কাঁচ লাগানো বাস্কে সযত্নে সংরক্ষিত করা আছে। মূর্তির সাথেই সেটি পুজো করা হয়।’
জানা গেছে, সামন্ত পরিবারের আমন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে জেলা আদালতের বিচারকদের অনেকে এই পূজায় সামিল হতে আসেন। শুধুমাত্র কেতুগ্রাম বা পাশাপাশি গ্রাম থেকেই নয়, দূর দুরান্তের গ্রাম থেকেও দেবীর পূজা দিতে আসেন পুন্যার্থীরা। পারিবারিক পূজা হলেও অনন্তপুরের সামন্ত পরিবারের কালীপূজা কার্যত সার্বজনীন। অংশগ্রহণ করেন আপামর গ্রামবাসী। পূজায় সামন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে ভোজের আয়োজন করা হয়।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

১৭৮ বছরে বর্ধমান কেতুগ্রামের সামন্ত পরিবারের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা

আপডেট টাইম : ১১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতা থেকে :
সনাতনধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী মা কালীর আবির্ভাব সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া যায়, তা হলো, পুরাকালে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামের দুই দৈত্য পৃথিবীজুড়ে তাদের ভয়ংকর ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল। দেবতারাও এই দুই দৈত্যের কাছে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেবলোক তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়, তখন দেবরাজ ইন্দ্র দেবলোক ফিরে পাওয়ার জন্য আদ্যশক্তি মা মহামায়ার তপস্যা করতে থাকেন। তখন দেবী সন্তুষ্ট হয়ে তাদের কাছে আবির্ভূত হন। আবির্ভূত সেই দেবীই হচ্ছেন কালী।
প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নবদ্বীপের এক তান্ত্রিক, যার নাম কৃষ্ণানন্দ, তিনি বাংলায় প্রথম কালীর মূর্তি বা প্রতিমা পূজার প্রচলন করেন। তার আগে উপাসকেরা তাম্রপটে বা খোদাই করে কালীর সাধনা করতেন বলে জানা যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীতে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় কালীপূজাকে জনপ্রিয় করে তোলেন এবং এভাবে মা কালীর প্রতিমা পূজার প্রচলন শুরু। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলার বিভিন্ন ধনী জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় কালীপূজার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।
আসন্ন কালিপূজায় মাতোয়ারা আপামর বাঙালি। এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে সামন্ত বাড়ির কালীপূজা গোটা এলাকাজুড়ে এনেছে এক ভিন্ন মাত্রা। ১৭৮ বছরে পদার্পণ করলো এবারের পূজো। জানা গেছে, ১৭৮ বছর আগে স্বপ্নাদেশ পেয়ে একটি দীঘির তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল পাথরের কালীমূর্তি। একই বছর দেবীমূর্তির সাথেই উদ্ধার হয়েছিল একটি সশীষ ডাব। দেবীর স্বপ্নাদেশে প্রথম বছরেই পূজার শেষে পাথরের কালীমূর্তিটি ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাগীরথীর জলে। কিন্তু রয়ে যায় ডাবটি।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের অনন্তপুর গ্রামের সামন্ত পরিবারের কালীমন্দিরে এখনও দেবীমূর্তির সাথেই ১৭৮ বছর আগে উদ্ধার হওয়া ডাবটি রেখে পূজা করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস দৈব নির্দেশে প্রাপ্ত ওই ডাব আজও জীবন্ত। সেটি দর্শনে দেবীর আশীর্বাদ মেলে। দেবীমূর্তির সামনে সেই ডাবটি রেখেই সামন্ত পরিবারের পূজা হয়। কেতুগ্রামের ঝামটপুর এবং অনন্তপুর পাশাপাশি গ্রাম।
অনন্তপুর গ্রামের সামন্ত পরিবার এলাকায় সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসাবে পরিচিত। এই পরিবারের সদস্য বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। বর্তমানে তিনি ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনাল এর চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝামটপুর গ্রামে আন্নাকালীদেবী নামে এক সাধিকা ছিলেন। তিনি শক্তির সাধনা করতেন। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, আন্নাকালীদেবীর মা স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তাদের বাড়ির কাছে জয়ধারা দীঘির পানির নীচে দেবী অবস্থান করছেন। দেবীর স্বপ্নাদেশ হয, ওই দীঘির অগ্নিকোনে পানির নীচ থেকে দেবীর মূর্তি উদ্ধার করে পূজো শুরু করার। গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সেই স্বপ্নাদেশের কথা প্রচার হয়ে যায়। এরপর দিনক্ষণ নির্ধারণ করে শুরু হয় দেবীমূর্তি উদ্ধারের প্রক্রিয়া। ঢাক কাঁসর বাজিয়ে দীঘির পাড়ে হাজির হন গ্রামের লোকজন। আন্নাকালীদেবীর মা দীঘির জলে নামেন। তখনও গ্রামের একাংশ ততটা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অল্প কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় সাধিকামাতা একটি পাথরের কালীমূর্তি কোলে নিয়ে জল থেকে উঠে এলেন। গ্রামবাসীরা দেখেন তার এক হাত বুকে জড়িয়ে ধরা রয়েছে কালীমূর্তিটি। আর অন্যহাতে ধরা একটি সশীষ ডাব। আন্নাকালীদেবীর দিদি মৃগনয়না দেবীর বিয়ে হয়েছিল ঝামটপুর লাগোয়া অনন্তপুর গ্রামের শংকর সামন্তের সঙ্গে।
শংকরবাবুর ছেলে ছিলেন সুধাকর সামন্ত। আন্নাকালীদেবীর নির্দেশেই তার দিদির ছেলে সুধাকর সামন্তকে পরবর্তীতে এই পূজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সুধাকরবাবু নিষ্ঠার সঙ্গে তা পালন করেন। অনন্তপুরে তৈরি করা হয় দেবীর মন্দির। সেই মন্দিরেই দেবী পূজিত হয়ে আসছেন।
বর্তমানে সুধাকরবাবুর তিন পুত্র জ্ঞানেন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ, জিতেন্দ্রনাথ এবং দুই কন্যা ভবানীদেবী ও ইন্দ্রাণীদেবী। ভবানী দেবী সবার বড়। তিনি সঙ্গীতশিল্পী। ভাইবোন সকলে মিলেই এই পূজা করে আসছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বর্তমানে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিয়েল এস্টেট আপিলেট ট্রাইবুনাল এর চেয়ারপার্সন। অন্যান্যরাও উচ্চ প্রতিষ্ঠিত। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। কিন্তু কালীপূজার সময় পরিবারের সকলকেই গ্রামের বাড়িতে চলে আসতে হয়।
আলাপকালে রবীন্দ্রনাথবাবু জানান ‘আমাদের পূজায় বলিদান করা হয় না। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরের দিনেই সেই কাঠামো তুলে নিয়ে আসা হয় মন্দিরে। ওই কাঠামো বেদিকে রেখেই সারাবছর নিত্যসেবা হয়। আবার পরের বছর ওই কাঠামোতেই দেবীর প্রতিমা নির্মাণ করতে হয়। আর সেই ডাবটিকে কাঁচ লাগানো বাস্কে সযত্নে সংরক্ষিত করা আছে। মূর্তির সাথেই সেটি পুজো করা হয়।’
জানা গেছে, সামন্ত পরিবারের আমন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে জেলা আদালতের বিচারকদের অনেকে এই পূজায় সামিল হতে আসেন। শুধুমাত্র কেতুগ্রাম বা পাশাপাশি গ্রাম থেকেই নয়, দূর দুরান্তের গ্রাম থেকেও দেবীর পূজা দিতে আসেন পুন্যার্থীরা। পারিবারিক পূজা হলেও অনন্তপুরের সামন্ত পরিবারের কালীপূজা কার্যত সার্বজনীন। অংশগ্রহণ করেন আপামর গ্রামবাসী। পূজায় সামন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে ভোজের আয়োজন করা হয়।

প্রিন্ট