কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাবেক যুবদল নেতার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলিতে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
গুলি বর্ষণের ঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল করিব বলেন, মহিষকুন্ডি এলাকায় মৃত্যু বার্ষিকী পালনকে কেন্দ্র করে তাদের দুই পক্ষের মতভেদ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
২১ অক্টোবর, রাত ৯টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন মহিষকুন্ডি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক যুবদল নেতা মেহেদী হাসান সাগর ওরফে সাকবর আলীর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার কথা রয়েছে নিহতের পরিবারের। এ অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে সােমবার সন্ধ্যায় মহিষকুন্ডি বাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতা-কর্মীদের মাঝে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে একটি প্রস্তুতি সভা ডাকা হয় ।
এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা পাকুড়িয়া গ্রামের আরিফ ও প্রাগপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মহিষকুন্ডি গ্রামের কামাল হোসেনের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষ বাকবিতণ্ডা ও তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জনি (৩৫) নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পর পর ৩ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। গুলি লক্ষ্যভেদ হয়ে একটি গুলি স্থানীয় সরোয়ার নামে এক ব্যক্তির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দরজায় আঘাত হানলে দরজা ছিদ্র হয়। এসময় গুলির শব্দে মহিষকুন্ডি বাজারে উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজারের লোকজন দ্রুত নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় মহিষকুন্ডি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য ও দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিএনপি নেতা আরিফের দাবি তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে যুবদল নেতা কামালের ভাড়া করা সন্ত্রাসী জনি গুলি ছোড়ে। তবে আরিফের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুবদল নেতা কামাল হোসেন। গুলি বর্ষণকারী যুবক জনি একই ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন জামালপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করছে মহিষকুন্ডি বাজারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
প্রিন্ট