রাশিদুল ইসলাম রাশেদঃ
মানুষ যখন থানায় সেবা নিতে আসেন, তারা কি ধরনের সেবা নিবেন ও তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না। অনেক সময় তারা হেনস্থা ও হয়রানির শিকার হন। তাই নাগরিকের আইনি অধিকার সহজে পেতে ও পুলিশকে সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করছি। থানায় সেবা নিতে আসা মানুষকে কাস্টমার হতে সেবা প্রত্যাশী ও আমরা যারা নিজেদের শাসক হিসেবে দেখতাম, তাদের সেবা দানকারী হিসেবে দেখতে চাই। ৫ আগস্ট, ২০২৪ এর পর পুলিশের যে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে, তা কাজে দেখাতে চাই। বাংলাদেশ পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার) শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে নাটোরের লালপুর থানাকে সেবাধর্মী থানা হিসেবে উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন।
এ সময় ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, পুলিশের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। মানুষের নিরাপত্তা, মানবাধিকার, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি সচেতনতা বোধ ও সহজে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। সে লক্ষ্যে রাজশাহী রেঞ্জের আটটি জেলায় আটটি থানাকে সেবাধর্মী থানায় রুপান্তর করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে লালপুর থানায় অভ্যর্থনা ও তথ্য সেবা ডেস্ক, প্রথম সাড়া দানকারী কর্মকর্তা ডেস্ক, অনলাইন জিডি সংক্রান্ত সেবা ডেস্ক, দেওয়ানি ও সম্পত্তি হেল্প ডেস্ক, নারী ও শিশু সেবা কক্ষ ও সহায়তা ডেস্ক এবং আইনি পরামর্শ সহায়তা ডেস্ক যুক্ত করা হয়েছে। এতে থানার সেবা কার্যক্রম আরো বেগবান হবে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি পদ্মার চরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে নৌ-পুলিশ, সীমান্ত থানার অংশীজন, জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মোঃ সারোয়ার জাহান, নাটোর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. একরামুল হক (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
প্রিন্ট