কুষ্টিয়ার লালন মেলা থেকে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় শরীফ হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করেছে র্যাব। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিছানার নিচ থেকে ১৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
শনিবার র্যাব-১২ মোবাইল উদ্ধার ও আটকের বিষয়টি জানিয়েছে। র্যাবের ভাষ্য, শরীফ একটি চোর চক্রের সদস্য। তাঁদের দলে পাঁচজন সদস্য আছেন। তাঁরা দেশের বড় বড় জনসমাগমে গিয়ে দামি মোবাইল চুরি করেন।
শরীফ হোসেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বন্দর বাড়িপাড়া গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া লালন আখড়াবাড়িতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লালন মেলা। গত শুক্রবার ছিল লালন মেলার দ্বিতীয় দিন। মেলায় বিকেল থেকে মানুষের ঢল নামে। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে চুরি হয় অনেকগুলো মোবাইল ফোন। বেলা তিনটার দিকে ঝিনাইদহ থেকে মেলায় আসা আরমান আলী নামের এক যুবকের পকেট থেকে মোবাইল চুরি হয়। ট্র্যাকিং করে আরমান তাঁর চুরি হওয়া মোবাইল ফোনটি কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটের ডায়মন্ড হোটেলে আছে বলে জানতে পারেন। রাতে সেখানে পৌঁছে তিনি স্থানীয় লোকজন ও র্যাবের সহায়তায় শরীফের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন। এ সময় শরীফের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোটেল কক্ষের বিছানার নিচ থেকে আরও ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। টের পেয়ে শরীফের সঙ্গে থাকা তিনজন কৌশলে পালিয়ে যান। পরে র্যাব তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।
ডায়মন্ড হোটেলের পরিচালক উজ্জ্বল মোল্লা বলেন, লালন মেলায় বেড়াতে এসেছেন জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন হোটেল ভাড়া নেন। গতকাল রাতে এক ব্যক্তি এসে দাবি করেন যে লালন মেলা থেকে তাঁর মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। ফোনটি যাঁর কাছে, তিনি এই হোটেলের লোকশনে আছেন বলে দাবি করেন ওই ব্যক্তি। তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে মোবাইল উদ্ধারে সহযোগিতা করেন।
উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের মালিক আরমান আলী বলেন, ফোনে লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু ছিল। এর সূত্র ধরেই ফোনটি ফিরে পেয়েছেন তিনি।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ইলিয়াস খান বলেন, শরীফরা একটি চক্রের মাধ্যমে কাজ করেন। দেশের যেখানেই জনসমাগম হয়, সেখানেই এই মোবাইল চোর চক্রের সদস্যরা যান। দামি দামি ফোন চুরি করেন। এই চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে কুমারখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় চক্রটির সদস্যরা ১৬টি মোবাইল ফোন চুরি করেন।
প্রিন্ট