রবিবার (১৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হচ্ছে। এ সময়ের জন্য নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর তীরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় একটি সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, “ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেদের সহযোগিতায় সরকার চাল দিয়েছে। আমরা টাস্কফোর্সের টিম মাঠে সক্রিয় থাকবে। সেনাবাহিনীর সাথে কথা হয়েছে, তারাও আমাদের সহযোগিতায় মাঠে থাকবে।”
তিনি আরও জানান, “জেলে, আড়ৎদার, ক্রেতা, বিক্রেতাসহ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ১ বছর জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। প্রশাসনের মধ্যে দায়িত্ব পালনে শিথিলতা দেখালে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না। মৌসুমী জেলেরা এ অভিযানে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আশপাশের পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের জেলা-উপজেলা থেকে আসা জেলেদের প্রতিহত করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো অজুহাত শোনা হবে না।”
জেলে নেতা আসলাম মোল্লা সভায় বলেন, “নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের নিবন্ধিত কোনো জেলে নদীতে মাছ শিকারে নামবে না। এ আইন অমান্য করে মৌসুমি জেলেরা নদীতে মাছ ধরার চেষ্টা করে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলার অতিরিক্ত মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আল রাজীব, রাজবাড়ী সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সগীর মিয়া এবং দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ইছাক সরদার।
প্রিন্ট