ঢাকা , রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ Logo আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ Logo লুঙ্গি গেঞ্জি মাস্ক পরে যান বিমানবন্দরে Logo ভারত থেকে অবৈধভাবে ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ১০ বাংলাদেশী আটক Logo গোমস্তাপুরে বিদ্যুতের পোল থেকে পড়ে এক ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি মৃত্যু Logo নলছিটিতে “অপারেশন ডেভিল হান্ট”ঃ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ গ্রেফতার ২ নেতা Logo বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী Logo নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ Logo লালপুরে সহকর্মীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ফাঁসের অভিযোগে সিডিএ আটক Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গোয়ালন্দে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বদলে গেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের চিত্র

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, রাজশাহীর বাঘায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নতুন এক চিত্র উদ্ভূত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আগের দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে, দলিল লেখকের উপস্থিতি কমলেও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জমি নিবন্ধন করতে গেলে দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হতে হতো জমি ক্রেতাদের। অনেকেই প্রতিবাদ করলেও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোনো হয়রানি ছাড়াই জমি নিবন্ধন করছেন।

মঙ্গলবার (০৮-১০-২০২৪) সরেজমিনে দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে ও বাইরের চিত্র স্বাভাবিক। দলিল লেখক ও সেবা নিতে আসা লোকজনের আনাগোনায় অফিসটি সরগরম। স্বপন কুমার চৌধুরির মতো জমি নিবন্ধন করতে আসা লোকজন জানান, অতীতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হতো, এখন সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না।

স্থানীয় দলিল লেখকরা জানান, বর্তমানে লাইসেন্সধারী ১৬৪ জন দলিল লেখক কাজ করছেন। তবে, অনেকেই সমিতির সদস্য হয়ে লাভবান হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তারা সরকারের নির্ধারিত টাকায় কাজ করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক কম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ দলের লোকজনকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

সাব-রেজিস্ট্রার এন.এ.এম নকিবুল আলম জানান, দলিল লেখক সমিতির নামে টাকা আদায় বন্ধ হয়ে গেছে এবং বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফুঁসে উঠেই নিভে গেল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ

error: Content is protected !!

বাঘায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বদলে গেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের চিত্র

আপডেট টাইম : ০১:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, রাজশাহীর বাঘায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নতুন এক চিত্র উদ্ভূত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আগের দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে, দলিল লেখকের উপস্থিতি কমলেও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জমি নিবন্ধন করতে গেলে দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হতে হতো জমি ক্রেতাদের। অনেকেই প্রতিবাদ করলেও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোনো হয়রানি ছাড়াই জমি নিবন্ধন করছেন।

মঙ্গলবার (০৮-১০-২০২৪) সরেজমিনে দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে ও বাইরের চিত্র স্বাভাবিক। দলিল লেখক ও সেবা নিতে আসা লোকজনের আনাগোনায় অফিসটি সরগরম। স্বপন কুমার চৌধুরির মতো জমি নিবন্ধন করতে আসা লোকজন জানান, অতীতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হতো, এখন সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না।

স্থানীয় দলিল লেখকরা জানান, বর্তমানে লাইসেন্সধারী ১৬৪ জন দলিল লেখক কাজ করছেন। তবে, অনেকেই সমিতির সদস্য হয়ে লাভবান হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তারা সরকারের নির্ধারিত টাকায় কাজ করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক কম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ দলের লোকজনকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

সাব-রেজিস্ট্রার এন.এ.এম নকিবুল আলম জানান, দলিল লেখক সমিতির নামে টাকা আদায় বন্ধ হয়ে গেছে এবং বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।


প্রিন্ট