ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর, রাজশাহীর বাঘায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নতুন এক চিত্র উদ্ভূত হয়েছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আগের দলিল লেখক সমিতির নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায়, জমি ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে, দলিল লেখকের উপস্থিতি কমলেও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জমি নিবন্ধন করতে গেলে দলিল লেখক সমিতির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হতে হতো জমি ক্রেতাদের। অনেকেই প্রতিবাদ করলেও সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোনো হয়রানি ছাড়াই জমি নিবন্ধন করছেন।
মঙ্গলবার (০৮-১০-২০২৪) সরেজমিনে দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে ও বাইরের চিত্র স্বাভাবিক। দলিল লেখক ও সেবা নিতে আসা লোকজনের আনাগোনায় অফিসটি সরগরম। স্বপন কুমার চৌধুরির মতো জমি নিবন্ধন করতে আসা লোকজন জানান, অতীতে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হতো, এখন সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না।
স্থানীয় দলিল লেখকরা জানান, বর্তমানে লাইসেন্সধারী ১৬৪ জন দলিল লেখক কাজ করছেন। তবে, অনেকেই সমিতির সদস্য হয়ে লাভবান হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তারা সরকারের নির্ধারিত টাকায় কাজ করছেন, যা আগের তুলনায় অনেক কম। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ দলের লোকজনকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাব-রেজিস্ট্রার এন.এ.এম নকিবুল আলম জানান, দলিল লেখক সমিতির নামে টাকা আদায় বন্ধ হয়ে গেছে এবং বর্তমানে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ. এস.এম
মুরসিদ, মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।