ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোপালগঞ্জে অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা

অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও সুপারেন্টেন্ড এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ এর স্বৈরাশাসনে চলছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে এতিম শিক্ষার্থীদের ওপর খারাপ ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই অভিযোগ করে জানিয়েছেন মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পার্শ্ববর্তী মহিলা এতিমখানার সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটিতে সরকারি বেতন ভুক্তভোগী ১৫ জন শিক্ষক ও ৫ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থাকলেও সুপার সহ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসেন না অনেকেই। সোমবার (৭অক্টোবর) ইবতেদায়ী শাখার কয়েকটি শ্রেণী কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ১ম, ২য়, ৩য় ও ৫ম শ্রেণীতে কোন  শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নেই। শুধু ৪র্থ শ্রেণীতে দুজন শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষক পাঠদান করছে। ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী ১ম‌ শ্রেণীতে ৫ জন,২য় শ্রেনীতে ১৫জন, ৩য় শ্রেণীতে ১৩জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১৮জন ও ৫ম শ্রেণীতে ১৪জন ছাত্রী ভর্তি দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মাদ্রাসাটিতে এবতেদায়ী শাখায় পাশ্ববর্তী এতিমখানার ছাত্রীরা ছাড়া অন্য কোন শিক্ষার্থী আসেনা।

উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখায় বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি থাকা এতিম ছাত্রীরা সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, মাদ্রাসার সুপার এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করে।

এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফিজুর রহমানের ভাষ্যমতে সুপারেন্টেন্ড ও অন্যান্য শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও মাদ্রাসার শিক্ষার মান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়তে পারে না।

এসকল অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ড এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা ঠিকঠাক মতই মাদ্রাসা পরিচালনা করি, সামনে পূজা তাই অনেক শিক্ষার্থী বন্ধ মনে করে মাদ্রাসায় আসেনি।

 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উলপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মহসিন উদ্দিন সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকদের খারাপ আচরণ ও বিভিন্ন ক্লাসে শিক্ষার্থী না থাকার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার সত্যতা থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

গোপালগঞ্জে অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চলছে উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন, গোপালগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও সুপারেন্টেন্ড এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ এর স্বৈরাশাসনে চলছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে এতিম শিক্ষার্থীদের ওপর খারাপ ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই অভিযোগ করে জানিয়েছেন মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও পার্শ্ববর্তী মহিলা এতিমখানার সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ও এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসাটিতে সরকারি বেতন ভুক্তভোগী ১৫ জন শিক্ষক ও ৫ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থাকলেও সুপার সহ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসেন না অনেকেই। সোমবার (৭অক্টোবর) ইবতেদায়ী শাখার কয়েকটি শ্রেণী কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ১ম, ২য়, ৩য় ও ৫ম শ্রেণীতে কোন  শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নেই। শুধু ৪র্থ শ্রেণীতে দুজন শিক্ষার্থীকে একজন শিক্ষক পাঠদান করছে। ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী ১ম‌ শ্রেণীতে ৫ জন,২য় শ্রেনীতে ১৫জন, ৩য় শ্রেণীতে ১৩জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১৮জন ও ৫ম শ্রেণীতে ১৪জন ছাত্রী ভর্তি দেখানো হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে মাদ্রাসাটিতে এবতেদায়ী শাখায় পাশ্ববর্তী এতিমখানার ছাত্রীরা ছাড়া অন্য কোন শিক্ষার্থী আসেনা।

উলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখায় বিভিন্ন শ্রেণীতে ভর্তি থাকা এতিম ছাত্রীরা সাংবাদিকদের কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, মাদ্রাসার সুপার এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা তাদের সাথে খারাপ ব্যবহারের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করে।

এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মুস্তাফিজুর রহমানের ভাষ্যমতে সুপারেন্টেন্ড ও অন্যান্য শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও মাদ্রাসার শিক্ষার মান এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়তে পারে না।

এসকল অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপারেন্টেন্ড এ. কে. এম. সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা ঠিকঠাক মতই মাদ্রাসা পরিচালনা করি, সামনে পূজা তাই অনেক শিক্ষার্থী বন্ধ মনে করে মাদ্রাসায় আসেনি।

 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উলপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মহসিন উদ্দিন সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকদের খারাপ আচরণ ও বিভিন্ন ক্লাসে শিক্ষার্থী না থাকার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার সত্যতা থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে।


প্রিন্ট