ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোনকে বাঁচাতে ভগ্নিপতিকে মেরে নদীতে ভাসাল ভাই

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বোনের সংসারে অশান্তি মেটাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন ভগ্নিপতি। এরপর সেই মরদেহ পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাবুজোত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম রাজকুমার ওঁরাও (৩৭)। আর অভিযুক্ত ভাইয়ের নাম অনিল ওঁরাও।
মৃতের স্ত্রী বিপ্তি ওঁরাও (২৭) বলেন, আমার স্বামী, রাজকুমার ওঁরাও প্রতিদিন মদপান করে এসে অশান্তি করতেন। আমাকে ও ছেলেমেয়েকে মারধর করতেন। আমরা খুব অশান্তিতে ছিলাম। শনিবার রাতেও উনি মদ্যপান করে এসে আমাকে এবং মেয়েকে  মারধর করেন। আর সহ্য করতে না পেরে আমি আমার ভাই অনিল ওঁরাওকে ডাকি এবং ওঁকে বোঝাতে বলি।
এরপর ভাই আসেন এবং আমার স্বামীকে অনেক বোঝান। কিন্তু তিনি কোনও ভাবেই বুঝতে চাইছিলেন না। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে ওঁর ঝগড়া বাধে। কথায় কথায় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে ধরেন। এর জেরে আমার স্বামী শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। রাতেই ওঁর দেহ বাড়ির পাশে ঘিস নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর বিপ্তি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাইকে যেন পুলিশ ক্ষমা করে দেয়।’

মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা জানান, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্র: জি২৪ ঘণ্টা
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাগাতিপাড়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দোয়া প্রার্থী মোঃ সেলিম রেজা

error: Content is protected !!

বোনকে বাঁচাতে ভগ্নিপতিকে মেরে নদীতে ভাসাল ভাই

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বোনের সংসারে অশান্তি মেটাতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন ভগ্নিপতি। এরপর সেই মরদেহ পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১২ জুন) মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি বাবুজোত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম রাজকুমার ওঁরাও (৩৭)। আর অভিযুক্ত ভাইয়ের নাম অনিল ওঁরাও।
মৃতের স্ত্রী বিপ্তি ওঁরাও (২৭) বলেন, আমার স্বামী, রাজকুমার ওঁরাও প্রতিদিন মদপান করে এসে অশান্তি করতেন। আমাকে ও ছেলেমেয়েকে মারধর করতেন। আমরা খুব অশান্তিতে ছিলাম। শনিবার রাতেও উনি মদ্যপান করে এসে আমাকে এবং মেয়েকে  মারধর করেন। আর সহ্য করতে না পেরে আমি আমার ভাই অনিল ওঁরাওকে ডাকি এবং ওঁকে বোঝাতে বলি।
এরপর ভাই আসেন এবং আমার স্বামীকে অনেক বোঝান। কিন্তু তিনি কোনও ভাবেই বুঝতে চাইছিলেন না। এরপর ভাইয়ের সঙ্গে ওঁর ঝগড়া বাধে। কথায় কথায় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীর গলায় গেঞ্জি পেঁচিয়ে ধরেন। এর জেরে আমার স্বামী শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান। রাতেই ওঁর দেহ বাড়ির পাশে ঘিস নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
এরপর বিপ্তি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ভাইকে যেন পুলিশ ক্ষমা করে দেয়।’

মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা জানান, মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এদিন মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্র: জি২৪ ঘণ্টা