ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নবাগত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত, কক্ষে তালা

কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন কলেজে যোগ দিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনার পেছনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের ইন্ধন রয়েছে। মোসলেম উদ্দিন বিষয়টি জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত)কে জানিয়েছে, কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।

 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ প্রফেসর আজমল গণি অবসরে গেলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. খায়রুল ইসলাম। ২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে মোসলেম উদ্দিনকে কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০:৩০ টার দিকে মোসলেম উদ্দিন কলেজে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রাখে। তিনি তালা ভেঙে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে জোরপূর্বক কলেজের বাইরে নিয়ে যায়।

 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নতুন অধ্যক্ষ কলেজে আসার আগে পরিচয় না দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন, যা তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

 

অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন বলেন, “আমি লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। অভিযোগকারীরা সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছেন।”

 

অভিযুক্ত ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল হক বলেছেন, “আমরা নতুন অধ্যক্ষের আসার অপেক্ষায় ছিলাম। তবে লাঞ্ছনার বিষয়টি জানি না।”

 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল এবং তিনি রুমের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজিত হয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়।

 

 

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শারমিন আক্তার বলেন, “সহযোগিতা চেয়ে মৌখিকভাবে বিষয়টি অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ভিন্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি দেখভাল করতে পারি। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

নবাগত অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত, কক্ষে তালা

আপডেট টাইম : ১০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
মোঃ জিয়াউর রহমান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের নবাগত অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন কলেজে যোগ দিতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনার পেছনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের ইন্ধন রয়েছে। মোসলেম উদ্দিন বিষয়টি জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত)কে জানিয়েছে, কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষকেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন অধ্যক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মাহবুব উল আলম হানিফের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।

 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ প্রফেসর আজমল গণি অবসরে গেলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রফেসর ড. খায়রুল ইসলাম। ২ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে মোসলেম উদ্দিনকে কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০:৩০ টার দিকে মোসলেম উদ্দিন কলেজে আসেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে রাখে। তিনি তালা ভেঙে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে জোরপূর্বক কলেজের বাইরে নিয়ে যায়।

 

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নতুন অধ্যক্ষ কলেজে আসার আগে পরিচয় না দিয়ে তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন, যা তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য।

 

অধ্যক্ষ মোসলেম উদ্দিন বলেন, “আমি লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি। অভিযোগকারীরা সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দিচ্ছেন।”

 

অভিযুক্ত ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল হক বলেছেন, “আমরা নতুন অধ্যক্ষের আসার অপেক্ষায় ছিলাম। তবে লাঞ্ছনার বিষয়টি জানি না।”

 

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. খায়রুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল এবং তিনি রুমের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে উত্তেজিত হয়ে তাকে বের করে দেওয়া হয়।

 

 

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. শারমিন আক্তার বলেন, “সহযোগিতা চেয়ে মৌখিকভাবে বিষয়টি অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ভিন্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি দেখভাল করতে পারি। কিন্তু প্রশাসনিক ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।”


প্রিন্ট