নাটোরের লালপুরে ৩ নং চংধুপইল ইউনিয়নের শোভ ঠাকুর পাড়া ও ফকির পাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, কারো থাকার ঘরে হাঁটু পানি, কারো চুলায় পানি, কারো টিউবওয়েল নিমজ্জিত পানিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন এলাকার পানি সাভাবিক ভাবে নিষ্কাশন হতো, তবে গত ২ বছর আগে মনিন্দ্রনাথ সাহার ছেলে পদ্যুৎ কুমার সাহা ৮ বিঘার জমিতে পুকুর কাটার কারনে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, টানা বৃষ্টির ফলে ঘরসহ ফসলি জমি, বীজ তলা পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামের শতাধিক বাড়িতে পানি উঠছে। এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো এলাকা ডুবে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবু বলেন, পুকুর খননের জন্য পানি নিস্কাসনের প্রধান মুখটি ভরাট হওয়ায় পানি প্রবাহিত হতে পারে না। এতে বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে পরে। পানি জমে থাকায় গ্রামে বসবাসরত কৃষির ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলোর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও পানি বন্দী থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা ।ভোগান্তি লাঘবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানিয়ে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ।
এ বিষয়ে পুকুর মালিক পদ্যুৎ কুমার সাহা পানি বন্দী মানুষের দুর্ভোগের ব্যাপাটি এড়িয়ে যান।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আবেদন পেলে পানিবন্দি এলাকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাধ্যমে দ্রুত পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট