ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ Logo বাইসাইকেল নিয়ে সেতুর উপরে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেলাে শুভ’র Logo রাজশাহী-১ আসনে বিএনপি’র গোছানো মাঠ নষ্টের চেষ্টা Logo রাজশাহীতে আনসার ও ভিডিপি’র মতবিনিময় সভা Logo ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে নারীদের এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে সংবেদনশীল কর্মশালা Logo বাঘায় আনিসুরকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার রায়হানের Logo কালুখালীতে বিএনপি’র প্রতিবাদ সমাবেশ Logo জুলাই গণঅভুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে বাগাতিপাড়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo গোয়ালন্দে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নলছিটিতে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

ঝালকাঠির নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

এসময় বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, বর্তমান সভাপতি রাকিব গাজী, সদস্যসচিব হিমেল ও শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম কবির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ঘণিষ্ঠ হওয়ায় তাকে অবৈধভাবে নলছিটি ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তিনিই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় নিয়োগ স্থগিত করা হলেও দলীয় প্রভাবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

তিনি বরিশাল সিটি কলেজে ১২ বছর প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, যেটা পুরোপুরি অনিয়মতান্ত্রিক একটি নিয়োগ ছিল। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ২৯ জন প্রার্থী থাকার পরও দলীয় চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। দুইজন ডামি প্রার্থী রেখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে কলেজ সরকারি করণের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।

 

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি ফি ১২৫০ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেখানে তিনি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেওয়া বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে নানা কৌশলে অনিয়ম এবং বাণিজ্য করে দীর্ঘ ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

 

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শালিখায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ

error: Content is protected !!

নলছিটিতে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট টাইম : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
মোঃ আমিন হোসেন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :

ঝালকাঠির নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাঁর পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নলছিটি প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

এসময় বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, বর্তমান সভাপতি রাকিব গাজী, সদস্যসচিব হিমেল ও শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম কবির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর ঘণিষ্ঠ হওয়ায় তাকে অবৈধভাবে নলছিটি ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য থাকায় তিনিই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি মামলা করা হয়েছিল। মামলায় নিয়োগ স্থগিত করা হলেও দলীয় প্রভাবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

 

তিনি বরিশাল সিটি কলেজে ১২ বছর প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, যেটা পুরোপুরি অনিয়মতান্ত্রিক একটি নিয়োগ ছিল। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ২৯ জন প্রার্থী থাকার পরও দলীয় চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। দুইজন ডামি প্রার্থী রেখে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে কলেজ সরকারি করণের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।

 

এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি ফি ১২৫০ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও সেখানে তিনি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেওয়া বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে নানা কৌশলে অনিয়ম এবং বাণিজ্য করে দীর্ঘ ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

 

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে।


প্রিন্ট