মাগুরায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহ এ ঘটনার সঙ্গে নিজের যুক্ত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিমুল হুসাইন এবং তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আতিক উল্লাহ ১৪ জুলাই নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরাতে যোগদান করেন। কিন্তু তিনি অধিকাংশ সময় জেলার বাইরে থাকেন, যা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে নানা জটিলতা তৈরি করেছে। অধীনস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কাছ থেকে সহযোগিতা না পেয়ে নানা দুর্ব্যবহার ও অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন।
এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে, গত ২ অক্টোবর অধীনস্ত ২৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গণ বদলির আবেদন জানান।
রোববার, এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে শিমুল হুসাইনের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তিনি জানান, সকালে অফিসে বসে কাজ করার সময় দুপুর ১২টার দিকে আবদুল আজিজ, মমিন এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সিরাজসহ ৮-১০ জন তাকে মারধর করে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আতিক উল্লাহ নির্দেশ দেন, শিমুলের জামা-কাপড় খুলে অফিসের সামনে দাঁড় করাতে। তাদের মারধরের মধ্যে শিমুলের জামা এবং প্যান্ট খুলে ফেলা হয়। তিনি সম্মানহানি না করার জন্য অনুনয় করলে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রিন্ট