ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কাকলি আক্তারের নামে একাধিক অভিযোগ স্থানিয়দের

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ও রুইথনপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কাকলি আকতারের (C.H.C.P)নামে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেছে চিৎলা ও রুইথনপুর গ্রামের সুবিধাভোগী সাধারণ জনগণ। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক এর সামনে স্থানীয়রা জড়ো হয়। স্থানীয়রা জানায়, কর্মরত কাকলি আক্তার তাদের কাছ থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাথাপিছু কখনো পাচ টাকা আবার কখনো দশ টাকা করে নিচ্ছে ঔষধ দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দেই না। প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ চাওয়া হলে অশালীন আচরণ করে। তার ডিউটি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হলেও তিনি ডিউটি পালন করে সকাল দশটার পর থেকে দুপুর ১টা থেকে বড়জোড় ২ টা পর্যন্ত।

 

এই বিষয়ে কাকলী আক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোনো বাজেট না থাকায় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে পরিচারিকার বেতন বাবদ পূর্বে ২ টাকা করে নেওয়া হতো কিন্তু সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ারের পরামর্শক্রমে ৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এখন। তিনি আরো বলেন, ঔষধ সময়মত ক্লিনিকে না পৌঁছানোর জন্য মাঝে মাঝে সেবা গ্রহিতাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা গ্রহিতাদের ঔষধ প্রদান করা হয়। আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে ডিউটিতে সময়মতো উপস্থিত হওয়া এবং ঠিক সময়ে ডিউটি শেষ করতে একটু বিলম্ব হয়। তবে এটার জন্য আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে ছুটি নিয়ে থাকি। প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচারিকা আছে নাকি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৫০০-১ হাজার টাকা বেতনে পরিচারিকা না পাওয়াই আমি নিজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করতে বাধ্য হই। তিনি বলেন বিগত চার মাস আমি নিজেও বেতন পাইনি।

 

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (U.H) মোছাঃ শারমিন আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভাগীয় ভাবে দুই টাকা করে রোগীদের থেকে নেওয়ার অনুমতি আছে তবে কেউ যদি টাকা দিতে না পারে তবুও সে সেবা পাবে। কাকলি আক্তারের অনিয়মিত সেবা প্রদানের কথা জানালে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিটিং, ট্রেনিং সহ অন্যান্য কাজ থাকে। সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকে। কিন্তু যদি এটা নিয়মিত হয় এবং আমার কাছে অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

এই বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে নেই। আপনার মাধ্যমে এমন অভিযোগ এই প্রথম আসলো। আমি এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কাকলি আক্তারের নামে একাধিক অভিযোগ স্থানিয়দের

আপডেট টাইম : ০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
হুমায়ুন আহমেদ, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি :

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ও রুইথনপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কাকলি আকতারের (C.H.C.P)নামে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ করেছে চিৎলা ও রুইথনপুর গ্রামের সুবিধাভোগী সাধারণ জনগণ। রবিবার বেলা ১১ টার দিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক এর সামনে স্থানীয়রা জড়ো হয়। স্থানীয়রা জানায়, কর্মরত কাকলি আক্তার তাদের কাছ থেকে অনুমোদন ছাড়াই মাথাপিছু কখনো পাচ টাকা আবার কখনো দশ টাকা করে নিচ্ছে ঔষধ দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দেই না। প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ চাওয়া হলে অশালীন আচরণ করে। তার ডিউটি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত হলেও তিনি ডিউটি পালন করে সকাল দশটার পর থেকে দুপুর ১টা থেকে বড়জোড় ২ টা পর্যন্ত।

 

এই বিষয়ে কাকলী আক্তারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোনো বাজেট না থাকায় সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে পরিচারিকার বেতন বাবদ পূর্বে ২ টাকা করে নেওয়া হতো কিন্তু সদ্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ারের পরামর্শক্রমে ৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে এখন। তিনি আরো বলেন, ঔষধ সময়মত ক্লিনিকে না পৌঁছানোর জন্য মাঝে মাঝে সেবা গ্রহিতাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ঔষধ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা গ্রহিতাদের ঔষধ প্রদান করা হয়। আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে ডিউটিতে সময়মতো উপস্থিত হওয়া এবং ঠিক সময়ে ডিউটি শেষ করতে একটু বিলম্ব হয়। তবে এটার জন্য আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে ছুটি নিয়ে থাকি। প্রতিষ্ঠানে কোন পরিচারিকা আছে নাকি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ৫০০-১ হাজার টাকা বেতনে পরিচারিকা না পাওয়াই আমি নিজেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করতে বাধ্য হই। তিনি বলেন বিগত চার মাস আমি নিজেও বেতন পাইনি।

 

এই বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (U.H) মোছাঃ শারমিন আক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভাগীয় ভাবে দুই টাকা করে রোগীদের থেকে নেওয়ার অনুমতি আছে তবে কেউ যদি টাকা দিতে না পারে তবুও সে সেবা পাবে। কাকলি আক্তারের অনিয়মিত সেবা প্রদানের কথা জানালে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিটিং, ট্রেনিং সহ অন্যান্য কাজ থাকে। সেক্ষেত্রে মাঝে মাঝে দায়িত্বরত কর্মকর্তা অনুপস্থিত থাকে। কিন্তু যদি এটা নিয়মিত হয় এবং আমার কাছে অভিযোগ আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

এই বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে নেই। আপনার মাধ্যমে এমন অভিযোগ এই প্রথম আসলো। আমি এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করব।


প্রিন্ট