কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে আহসান হাবীব কাকন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১ তারিখ ০১/১০/২০২৪। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, মামলার তদন্তের স্বার্থে আর কোনো তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে রাজি হননি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ওসি জানিয়েছেন যে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পেয়েছেন। তা পরে জানানো হবে।
এর আগে সোমবার রাতে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর নিজ এলাকায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে । নিহত নঈমুদ্দিন সেন্টু ৩ নং ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত মোতালেব সরকারের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সেন্টু। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় বেলা ৩ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
প্রিন্ট