নরসিংদীর শিবপুরে মাছিমপুর ইউনিয়নের দত্তেরগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আরজু খানের ছেলে ফিড ব্যবসায়ী দৌলত হোসেন খান (৫২), কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পারিবারিক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যা থেকেই চুরির ফাঁদ পেতে ট্রাকের ব্যাটারি চুরি করার পায়তারা করতে থাকে। টের পেয়ে নিহত দৌলত খান পোল্টি ফার্মের দুজন কর্মচারিকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন।
বাড়ির পশ্চিমে ১০০ গজ দূরে মোরশেদ ফকিরের বাড়ির পাশে গেলেই ওতঁপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা দৌলত খানকে দেখেই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলো পাতালি কোপাতে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মোরশেদ ফকিরের বাড়ির ওঠানে ফেলেও এলো পাতালি কোপায়। নিহত দৌলত খানের বুকের পাজর, লিঙ্গ, হাত ও পা কেটে ফেলে। সন্ত্রাসীরা দৌলত খানের মৃত্যু নিশ্চিত হলে ওইখান থেকে চলে যায়। পরে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠান।
দৌলত খানের দুজন কর্মচারি জানান, পোল্টি ফার্মের কাজ শেষ করে শুয়ে পরি। পরে দৌলত দাদা আমাদেরকে ডাকেন গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে নিয়ে যাইতাছে, আমরা বের হই। বের হয়ে একটু সামনে গেলে ৮/৯ জন সন্ত্রাসী দৌলত দাদার ওপর হামলা করে। পরে তিনি দৌড় দিতে চেষ্ঠা করলে তখন খুনিরা দাদাকে দা, কুড়াল দিয়ে কোপাতে থাকে ও আমাদের গলায় ছুড়ি ধরে রাখে। পরে দৌলত দাদাকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যাওয়ার সময় আমরা ডাক চিৎকার শুরু করলে আশ-পাশের লোকজন বের হয়ে আসতে থাকেন এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের শিবপুরে কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা তাদের ভয়ে রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন এই কিশোর গ্যাং দের চিহ্নিত করে অতি শীগ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে শিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসাইন বলেন, রাত্রে পুনে দুইটার দিকে ৫/৭ জনের একটি দল ব্যাটারি চুরির একটি নাটক সাজিয়ে দৌলত খানকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিয়তের জানাজাও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করতেছি। এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।