আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার একটি অপরিহার্য নাম। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করতে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল একটি পদে হযরত আলীকে দেখতে চাই তৃণমুল। যেখান থেকে তিনি তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কথা বলতে পারেন। এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত পা-ফাটা সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তারা তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না।
অবহেলিত এসব নেতাকর্মীর প্রতিনিধি হিসেবে হযরত আলী মাস্টারকে বিএনপির দায়িত্বশীল পদে দেখতে চাই তৃণমুল।
জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের অবর্তমানে, তার যোগ্য উত্তরসূরী ভাতিজা হযরত আলী মাস্টার। বিএনপির আগামির নেতৃত্বে আশার আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন। প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের দিকনির্দেশনা ও তার ছায়ায় থেকে তার হাতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠা রাজনৈতিক নেতৃত্ব হযরত। তিনিও তার নেতৃত্বের গুনে সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে তিনি কখানো গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতা ও কমী-সমথর্কদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তার বিরুদ্ধে নেই কোনো তদ্বির বাণিজ্যে, পদ বাণিজ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা,খাস পুকুর দখল, গভীর নলকুপ দখল,টেন্ডারবাজী ইত্যাদির অভিযোগ। পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব হিসেবে তিনি এখানো সবার কাছে সমান জনপ্রিয়।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব হযরত আলী মাষ্টার। ছাত্র জীবন থেকেই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব, দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, সেরা সংগঠক, কর্মী-জনবান্ধব, আদর্শিক, পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে ধীরে ধীরে তৃণমুলের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই তরুণ ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তৃণমুল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত,রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিএনপির রাজনীতিতে যেমন তার পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। তেমনি তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তার পরিবার থেকে যে কারো উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে আশা সময়ের দাবি। এছাড়াও শুধু সদর বা মফস্বল কেন্দ্রিক নেতৃত্ব নয় বরং সদর ও মফস্বলের সমন্বয়ে নেতৃত্ব দেয়ার দাবি তৃণমুলের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না।
তিনি বলেন, আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি আমি এসব মানুষদের নিয়েই ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য তিনি সকলের কাছে সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীরাই বিএনপির প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরসাও তারাই।
প্রিন্ট