মুন্সী সাদেকুর রহমান শাহীন, গোপালগঞ্জ ব্যুরো প্রধান
কোটালীপাড়ায় সরকারি অর্থায়নে তৈরি রাস্তায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে ২০ টি পরিবারের মানুষ। ওই ২০ টি পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত সহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বয়স্কদের অতি জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা ও নিত্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় হাট বাজারে যাতায়াত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বার বার চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান করে রাস্তাটিতে স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে পারেনি।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের হরিনাহাটি গ্ৰামে। এবিষয়ে ২৮ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও কোটালীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ জানানোর ৪দিন পেরিয়ে গেলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এবিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন সময়ের দৈনিক প্রত্যাশা এর ব্যুরো প্রধান। অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম সময়ের প্রত্যাশাকে জানান, প্রায় তিন যুগ ধরে পায়ে হাঁটা এই রাস্তা দিয়ে ২০ টি পরিবারের মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করে আসছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এডিপির অর্থায়নে রাস্তাটির উন্নয়ন করা হয়। ইতিমধ্যেই রাস্ত সুফল পেতে এই ২০ পরিবারের শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত, বয়স্কদের জরুরি চিকিৎসা নেওয়া সহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম সহজে করতে পারছিল। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকার প্রভাবশালী এসহাক শেখ স্ত্রী কল্পনা বেগম ও তার লাঠিয়াল বাহিনী রাস্তা ব্যবহার করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে গত একমাস আগে রাস্তার দু’পাশে কেটে রাস্তার প্রশস্ত কমিয়ে ফেলে এবং যাতায়াত করা ব্যক্তিদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে সম্মান হারানোর ভয়ে পুরোপুরি যাতায়াত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পিছনে বসবাস করা ২০ পরিবারের মানুষ।
স্হানীয় রবিন্দ্রনাথ বৈরাগী, মনির শেখ জোহরা বেগম, দোলেনা বেগম তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জনস্বার্থে এই রাস্তাটিতে গ্ৰামবাসী সম্মিলিতভাবে জায়গা দান করেছেন। প্রথমে এলাকাবাসী নিজস্ব অর্থায়নে মাটি, ইট, বালু, সুরকি ও বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করা হয়। পরে সরকারি অর্থায়নে উন্নয়ন করেছে ইউনিয়ন পরিষদ। বর্তমানে কোন যায়গা দাতা বাঁধা প্রদান করছে না শুধু প্রভাবশালী এসহাক শেখ তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষদের দমন পীড়ন সহ হয়রানি করছে।
তবে অভিযুক্ত ইসহাক রাস্তাটিতে তার নিজের যায়গায় বলে দাবি করেছেন।
এবিষয়ে কোটালীপাড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার শাহীনুর আক্তার সময়ের প্রত্যাশাকে বলেন, ঘটনাটি অমানবিক অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।
প্রিন্ট