রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পূর্ব শত্রুতা ও দলীয় কোন্দলের জেরে সাদ্দাম হোসেন (৩৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত সাদ্দাম ধুরইল ইউ’পি ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি। গুরুত্বর আহত তার বড়ভাই বুলবুল হোসেন ৯নং ওয়ার্ড কৃষক দলের সদস্য। সাদ্দাম হোসেন ও বুলবুল হোসেন উভয়ের পিতার নাম ভেদু হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সময় আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে ধুরইল ইউপি’র পালশা পশ্চিমপাড়া গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনার পর মোহনপুর থানা ওসি নিজেই সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে
হামলাকারী আওয়ামী লীগ কর্মী এক্সসার আলী (৩৫) কে আটক করে। আটক এক্সসার আলী একই গ্রামের আয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক্সসার আলীর হাসুয়ার কোপে সাদ্দাম হোসেন নিহত হয়েছেন ও তার বড় ভাই বুলবুল হোসেন গুরুতর জখম। আহতদের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদ্দাম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন আর বড়ভাই বুলবুল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
দলীয় সূত্রে মোহনপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত সাদ্দাম ধুরইল ইউপি ৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি দলের একজন সক্রিয় নেতা ছিলেন ৫-ই আগস্ট সহ দলীয় কর্মকাণ্ডে তার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য, রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ কর্মী’রা নির্মমভাবে এ হত্যা কান্ড করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই জাহাঙ্গীর জানান, সাদ্দাম হোসেন নিহতের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রেহেনা বেগম বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোহনপুর থানার জি আর মামলা নাং ২৪ তারিখঃ ২৭/০৯/২৪ ইং, উক্ত মামলায় ৫ জনার নাম উল্লেখিত ৪ জনার নাম অজ্ঞাত করে মোট ৯ জন আসামি হয়। আসামির কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাসুয়া ও লোহার পাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, সাদ্দাম হোসেন নিহতের ঘটনায় এক্সসার আলীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রিন্ট