গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার নিজের MD Razu Khan নামের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে এ লাইভ করেন। ফেসবুক লাইভে ছাত্রলীগ নেতা রাজু খাঁনকে কান্না জড়িত কন্ঠে বলতে শোনা যায়, আমি কি অপরাধ করেছি, আমাকে RAB ধরতে এসেছে। আমি রাজনীতি করি, রাজনীতি করা কি অপরাধ ! মাত্র আমি মাছ ধরে এসেছি। আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। আমার কাছে কোন অবৈধ অস্ত্র নেই, আমাকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হবে। আমি দরজা খুলবো না। আমার দিকে RAB এর সদস্যরা বন্দুক তাক করেছে। আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে। ঘোষের চর বাসি কোথায়, আমার বাড়িতে আসেন, আমাকে বাঁচান। আপনারা না আসলে আমি আত্মহত্যা করব, ফ্যানের সাথে গামছা ঝুলাইছি। এছাড়াও লাইভে থাকা অবস্থায় তিনি গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনিচুর রহমান এর সাথে ফোনে কথা বলে সাহায্য চান। ফেসবুক লাইভ চলাকালিন সময়ের মধ্যে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজন রাজু খাঁনের বাড়ির সামনে এসে জড় হলে RAB সদস্যরা চলে যান বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। পরে এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনেরা আতঙ্কিত রাজু খাঁনকে অনুরোধ ও নির্ভয় দিলে তিনি ঘরের দরজা খুলে দেন। পরে রাজু খাঁনকে পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র সরিয়ে নেন। এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা রাজু খাঁনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিচুর রহমান বলেন, গত রাতে ঘোষের চর এলাকায় RAB অভিযান চালায়, আমাদের কে অবহিত করার পর সদর থানা পুলিশের একটি টিম রওনা করে, অভিযান স্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা চলে যান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে গত ১০ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপিনাথপুর এলাকায় শেখ হাসিনার পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে সেনাবাহিনীর সাথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে মিছিল করে। এ ঘটনায় ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা আরো ৩ হাজার ২০০ জনের নামে মামলা হয়। এছাড়াও গত শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ঘোনাপাড়া মোড়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির এস এম জিলানীর গাড়ি বহরে আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালায়। এ হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির এস এম জিলানী, তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশনারা রত্না সহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়।