চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আব্দুল্লাহ (৪০) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সুতি থানায় হস্তান্তর করে বিএসএফ সদস্যরা। এর আগে রোববার গভীর রাতে উপজেলার ওয়াহেদপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবক উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের নিশিপাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।
ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম জানান, রোববার গভীর রাতে আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় বিএসএফ গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুল্লাহ। তবে অক্ষত অবস্থায় তার সহযোগিরা বাংলাদেশি ফিরে আসে।
সীমান্তের সূত্রগুলো জানায়, পরে বিএসএফ সদস্যরা আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আব্দুল্লাহ গরু চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি গরু আনতেই ভারতে যান বলে দাবি করেছে সূত্রগুলো।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে আব্দুল্লাহর নিহত হওয়ার খবর প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বিএসএফের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, ভারতের মালদার চাঁদনিচক ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। এতে মারা যান আব্দুল্লাহ। পরে বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ সুতি থানায় হস্তান্তর করে। পরে সুতি থানা পুলিশ মরদেহটি জঙ্গিপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এতে আরো বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে ৬৮২ বোতল ফেনসিডিল, ৫০ কেজি চিনি, ৬ বান্ডিল বিড়ির পাতা ও একটি গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সঙ্গে মিটিংয়েও এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। হামলা ও আত্মরক্ষামূলক গুলি চালানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মনির উজ জামান বলেন, সীমান্ত এলাকা থেকে একজন বাংলাদেশি মারা গেছেন এমন তথ্য জেনেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বিএসএফ চিঠির উত্তর দেয়নি এখনো।
প্রিন্ট