ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

যশোরে পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু

কর্মস্থলে যোগদিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। যশোরের ৯ থানার কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে পূর্ণ উদ্যোমে চালু হয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর সোমবার ১২ আগষ্ট পুলিশ সদস্যরা কাজকর্ম শুরু করেছেন। ট্রাফিক পুলিশকে সকাল থেকে রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
সোমবার কোতয়ালি থানায় একটি মামলা, ৮/১০টি জিডি ও ২০ থেকে ২৫ অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। অভিযোগপত্র নিয়ে পুলিশ তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা থানায় রয়েছে।
তারা পুলিশকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যদের রাস্তায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। আগের মতো পুরাপুরি ভাবে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে সার্জেন্টরা বসে ছিলেন। তবে কোন যানবাহন চেক বা মামলা করতে দেখা যায়নি। গত ৫ আগষ্টের পর প্রথম দিনে পুলিশের বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। পুলিশ অফিসাররা অন্যান্য যানবাহনের করে মামলা বা অভিযোগের তদন্ত কাজ করেছে। যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সী জানিয়েছেন, যশোর মোট ৫৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রাস্তায় সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ১৫/২০ জন সার্জেন্ট আছে দায়িত্ব পালনের জন্য।
অপরদিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলছেন, এখনও তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কোন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হবে না এটা বিশ্বাস করেন। বিভিন্ন অপরাধী ও টোকাই শ্রেণির ভাসমান অপরাধীরা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছে। এরা সব সময় অপরাধ প্রবণতার মধ্যে থাকে। তাদের আগে দমন করতে পারলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি বা পুলিশের ওপর আস্থা ফিরে আসবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

error: Content is protected !!

যশোরে পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু

আপডেট টাইম : ১০:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ অগাস্ট ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :
কর্মস্থলে যোগদিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। যশোরের ৯ থানার কার্যক্রম সোমবার সকাল থেকে পূর্ণ উদ্যোমে চালু হয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পর সোমবার ১২ আগষ্ট পুলিশ সদস্যরা কাজকর্ম শুরু করেছেন। ট্রাফিক পুলিশকে সকাল থেকে রাস্তায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
সোমবার কোতয়ালি থানায় একটি মামলা, ৮/১০টি জিডি ও ২০ থেকে ২৫ অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। অভিযোগপত্র নিয়ে পুলিশ তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আনসার সদস্যরা থানায় রয়েছে।
তারা পুলিশকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করছেন। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্য, বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যদের রাস্তায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। আগের মতো পুরাপুরি ভাবে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে সার্জেন্টরা বসে ছিলেন। তবে কোন যানবাহন চেক বা মামলা করতে দেখা যায়নি। গত ৫ আগষ্টের পর প্রথম দিনে পুলিশের বেশ কয়েকটি পিকআপ ভ্যান শহরে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। পুলিশ অফিসাররা অন্যান্য যানবাহনের করে মামলা বা অভিযোগের তদন্ত কাজ করেছে। যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সী জানিয়েছেন, যশোর মোট ৫৬ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য রাস্তায় সকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ১৫/২০ জন সার্জেন্ট আছে দায়িত্ব পালনের জন্য।
অপরদিকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বলছেন, এখনও তারা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। কোন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীদের দ্বারা তারা আক্রান্ত হবে না এটা বিশ্বাস করেন। বিভিন্ন অপরাধী ও টোকাই শ্রেণির ভাসমান অপরাধীরা বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছে। এরা সব সময় অপরাধ প্রবণতার মধ্যে থাকে। তাদের আগে দমন করতে পারলে মানুষের মধ্যে স্বস্তি বা পুলিশের ওপর আস্থা ফিরে আসবে।

প্রিন্ট