ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে এক দফা দাবির মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতের দিল্লিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে, যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন শেখ হাসিনা, এরই প্রেক্ষিতে সেখানে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন তিনি। যদিও যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনে এটি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিউজ ১৮ বাংলাদেশের বিরোধীদলের সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থাৎ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দরজা আপাতত বন্ধ। আর তাই বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা এখন অন্যান্য বিকল্প খুঁজছেন। যার ফলে তিনি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, কাতার, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন।
বুধবার পৃথক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা হিন্দু ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাই বিকল্প দেশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বেলারুশ, কাতার, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
যদিও এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা ‘কোথাও আশ্রয়’ চাননি বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির কাছে দাবি জানিয়েছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
এদিকে শেখ হাসিনার আশ্রয়ের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের যে অভিবাসন আইন অনুযায়ী সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় চাওয়ার বিধান নেই।
এর বদলে শেখ হাসিনাকে এখন ভারতেই আশ্রয় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন; তিনি প্রথম নিরাপদ যে দেশে পৌঁছান সেখানেই চাওয়া উচিত।’