ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রসঙ্গ কোটা সংষ্কার আন্দোলন

প্রতিবাদী গানে যশোরে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদ

প্রতিবাদী গানে গানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র- জনতা হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার বিকেলে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ও হাতে পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী গান গাইতে গাইতে শহরে মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের আয়োজনে মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অবস্থান নেন মুজিব সড়কস্থ প্রেসক্লাব যশোরের সম্মুখে। সেখানে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন তারা। শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অহিংস আন্দোলন করছিল। পরে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। অনেক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার। আমরা ব্যথিত। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীসহ নিরাপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীসহ কাউকে হয়রানি না করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধান করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, তারা আর কোনো নির্যাতন দেখতে চান না। শিক্ষক- শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করা হোক, তা তারা চান না। হামলা বন্ধ হোক। শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিপাঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খাঁন দুলু। কর্মসূচিতে জেলার ৩০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েক শ’ সাংস্কৃতিক নারী পুরুষ কর্মী অংশ নেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

error: Content is protected !!

প্রসঙ্গ কোটা সংষ্কার আন্দোলন

প্রতিবাদী গানে যশোরে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :
প্রতিবাদী গানে গানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র- জনতা হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার বিকেলে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ও হাতে পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী গান গাইতে গাইতে শহরে মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের আয়োজনে মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অবস্থান নেন মুজিব সড়কস্থ প্রেসক্লাব যশোরের সম্মুখে। সেখানে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন তারা। শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অহিংস আন্দোলন করছিল। পরে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। অনেক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার। আমরা ব্যথিত। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীসহ নিরাপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীসহ কাউকে হয়রানি না করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধান করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, তারা আর কোনো নির্যাতন দেখতে চান না। শিক্ষক- শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করা হোক, তা তারা চান না। হামলা বন্ধ হোক। শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিপাঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খাঁন দুলু। কর্মসূচিতে জেলার ৩০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েক শ’ সাংস্কৃতিক নারী পুরুষ কর্মী অংশ নেন।

প্রিন্ট