ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

প্রসঙ্গ কোটা সংষ্কার আন্দোলন

প্রতিবাদী গানে যশোরে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদ

প্রতিবাদী গানে গানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র- জনতা হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার বিকেলে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ও হাতে পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী গান গাইতে গাইতে শহরে মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের আয়োজনে মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অবস্থান নেন মুজিব সড়কস্থ প্রেসক্লাব যশোরের সম্মুখে। সেখানে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন তারা। শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অহিংস আন্দোলন করছিল। পরে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। অনেক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার। আমরা ব্যথিত। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীসহ নিরাপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীসহ কাউকে হয়রানি না করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধান করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, তারা আর কোনো নির্যাতন দেখতে চান না। শিক্ষক- শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করা হোক, তা তারা চান না। হামলা বন্ধ হোক। শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিপাঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খাঁন দুলু। কর্মসূচিতে জেলার ৩০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েক শ’ সাংস্কৃতিক নারী পুরুষ কর্মী অংশ নেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

প্রসঙ্গ কোটা সংষ্কার আন্দোলন

প্রতিবাদী গানে যশোরে সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদ

আপডেট টাইম : ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
কাজী নূর, যশোর জেলা প্রতিনিধি :
প্রতিবাদী গানে গানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র- জনতা হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে যশোরের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার বিকেলে মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে ও হাতে পতাকা নিয়ে প্রতিবাদী গান গাইতে গাইতে শহরে মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানায় সাংস্কৃতিক কর্মীরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোরের আয়োজনে মিছিলটি শহরের চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অবস্থান নেন মুজিব সড়কস্থ প্রেসক্লাব যশোরের সম্মুখে। সেখানে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন তারা। শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা অহিংস আন্দোলন করছিল। পরে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। অনেক লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার। আমরা ব্যথিত। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা শিক্ষার্থীসহ নিরাপরাধ জনসাধারণ হত্যা ও নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার্থীসহ কাউকে হয়রানি না করে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যা সমাধান করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, তারা আর কোনো নির্যাতন দেখতে চান না। শিক্ষক- শিক্ষার্থী বা সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন করা হোক, তা তারা চান না। হামলা বন্ধ হোক। শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেওয়া হোক। তারা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, যশোর জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিপাঙ্কর দাস রতন, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খাঁন দুলু। কর্মসূচিতে জেলার ৩০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েক শ’ সাংস্কৃতিক নারী পুরুষ কর্মী অংশ নেন।

প্রিন্ট