জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি আই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বীকৃতি পেয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনা। এটি জেলার দ্বিতীয় জিআই পণ্য। এর আগে গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ১২ মার্চ জিআই পণ্যের অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। পরে যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনা নিবন্ধনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর কর্তৃক জার্নাল প্রকাশ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এই স্বীকৃতি জেলার মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনার ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া ব্রোঞ্জের গহনা তৈরির সঙ্গে সম্পৃক্ত কারিগরদের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে বলেন। ব্রোঞ্জ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
চলতি বছরের ১২ মার্চ ব্রোঞ্জের গহনার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে আবেদন করা হয়।
ব্রোঞ্জ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, জলিরপাড়ে ব্রোঞ্জের গহনা তৈরি শুরু হয় প্রায় ১০০ বছর আগে। এটি এলাকায় আস্তে আস্তে বিস্তৃতি লাভ করে। এখানে গড়ে উঠে ব্রোঞ্জ মার্কেট। এরপর থেকে জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনা সুখ্যাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে এটি ছড়িয়ে পড়ে বিদেশের বাজারেও। তবে আধুনিকতার ছোয়া না লাগায় সম্প্রতিকালে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ব্রোঞ্জের গহনা এ দেশের বাজারের প্রায় ৫০ ভাগ দখল করে নিয়েছে। তারপরও জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনা তৈরি শিল্প টিকিয়ে রেখেছে শতাধিক পরিবার। জলিরপাড় ব্রোঞ্জ মার্কেটে এখনো ৪৫টি দোকান রয়েছে।
প্রিন্ট