২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়িচালক সঞ্জয় কুমার রুদ্রকে মাদক সহ গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর একটার দিকে হাসপাতালের গ্যারেজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার সঞ্জয় কুমার রুদ্র (৩০) চুয়াডাঙ্গার জেলার দর্শনা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহম্মদপুর গ্রামের শ্রী শিবুপদ রুদ্রের ছেলে। সে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজের সামনে যায়। সেখানে গিয়ে রুদ্রের প্যান্টের পকেট থেকে ১৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে ৩০ মে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৯ (ক) এবং ৪১ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলা নং-৫৫/২১৮।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতাল এলাকার একাধিক গাড়িচালক জানান, পরিচালক স্যার নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করে থাকেন। স্যারের নোহা নিউ মডেলের একটি গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সঞ্জয় কুমার রুদ্র। হাসপাতাল কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের গাড়ী নিরাপদ ভেবে তিনি নিয়মিত এই গাড়ীতে মাদক পরিবহন করতো।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সঞ্জয় কুমার রুদ্র প্রায় এক বছর ধরে আমার গাড়ি চালায়। আমি কখনোই বুঝতে পারিনি সে এ ধরনের কাজ করবে। আমি বুঝতে পারলে কখনোই তাকে আমার ড্রাইভার হিসেবে রাখতাম না।
সে সুযোগ নিয়েছে, আমি একটা বড় কর্মকর্তা আমার গাড়ি কেউ আটকায় না এই সুযোগ নিয়েছে। তার শাস্তি অবশ্যই হওয়া উচিত। তার বিষয়ে আমার কোন সুপারিশ নেই। তাকে আর কখনোই ড্রাইভার হিসেবে রাখবো না।
এবিষয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজের সামনে থেকে ১৫০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ সঞ্জয় কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।