পদ্মা-যমুনা নদীর মিলনস্থল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপেজেলা এলাকায় নদীতে নৌ-দস্যুতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দস্যুরা জেলে নৌকাসহ নদীতে চলাচলকারী নৌযানে নিয়মিত ডাকাতি ও চাঁদাবাজি করে থাকে। এছাড়া জাটকা ইলিশ সংরক্ষনের সময় তাদের ছত্রছায়ায় কতিপয় মৌসুমী জেলে নদীতে দেদারছে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকার করে থাকে। অন্যদিকে নদীতে না নেমে বঞ্চিত থাকেন প্রকৃত জেলেরা।
সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৪ টায় গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদের হলরুমে আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় কয়েকজন জেলে তাদের বক্তব্যে উপরোক্ত অভিযোগগুলো করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি।
উপজেলা টাস্কফোর্সে কমিটির পক্ষ হতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে দস্যুতা প্রতিহত, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেদের পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা সহ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
সভায় উপস্হিত জেলেরা এবার নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাটকা রক্ষার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন। সভায় গোয়ালন্দের পদ্মা-যমুনায় মৎস্য অভয়াশ্রম গড়ে তোলা এবং নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে শতভাগ জেলেকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার দাবি জানানো হয়।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্হাপনা প্রকল্পের আওতায় জাটকা ইলিশ সংরক্ষন উপলক্ষে আওতায় সচেতনতামূলক এ সভার আয়োজন করে উপজেলা ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত ‘উপজেলা টাস্কফোর্স’।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোস্তফা আল রাজিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্রের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা, দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, ছোটভাকলা ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল হোসন প্রমূখ।
প্রিন্ট