ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সালথায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিবেশির গাছ ভেঙ্গে পড়ে দিনমুজুরের ব্যাপক ক্ষতি

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে, কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিবেশীর চাম্বুল গাছ ভেঙে পড়ে এক দিনমুজুরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল ( ৯ মে) সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় ওই গ্রামের মৃত আলেক শেখের ছেলে রবিউল শেখ এর বসত ঘরের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এতে তার বসত ঘরের চাল ভেঙ্গে যায়। অল্পের জন্যে বেঁচে যায় ঘরে থাকা ১৬ দিনের নবজাতকসহ কয়েকটি প্রান। এখনও তারা ভয়ে দিন পার করছে যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে পাশে থাকা আরো মটকা ধরনের চাম্বুল গাছ গুলো। প্রতিবেশি ওই গাছের মালিক স্থানীয় মোনায়েম খাঁনকে বার বার বলা সত্বেও গাছেগুলো কেটে না নেওয়ায় ওই দিনমুজুরের এই ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানা যায়।

 

দিনমুজুর রবিউল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবেশী মোনায়েম খান এই দূর্ঘটনাটাপূর্ন গাছগুলো কেটে নিতে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নিয়েছে, তারপরও গাছ গুলো দুই বছর যাবত কাটেনি। তাই আজ আমার এই ক্ষতি হলো। এখন আমি আমার ঘরের ১৬ দিনের নবজাতক নিয়ে কোথায় বসবাস করবো।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওহিদ মোল্লা বলেন, এই গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাথে আমিও এই গাছ গুলো কেটে নেওয়ার সালিশ করেছি, গাছের মালিক মোনায়েম খান ওই গাছ বিক্রি করেও ব্যাপারীর কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিয়েছে। এটা সে কেন করেছে তা জানি না। তবে আজ অল্পের জন্যে পরিবারটি বেঁচে গেছে, আজ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো।

 

গাছের মালিক মোনায়েম খান বলেন, আমি প্রায় দুই বছর যাবত গ্রামে থাকি না। ওই সময় গাছগুলো কেটে নেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু এলাকায় না থাকাতে কাটতে পারিনি। এখন সমন্বয় করে কেটে ফেলবো।

 

 

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক মোল্লা বলেন, গাছ কাটার সালিশে আমিও ছিলাম, তবে ওই মোনায়েম খান কয়েকটি মিথ্যা ঘটনার হয়রানির স্বীকার হয়ে গ্রামে ছাড়া হতে হয়েছে তাকে। এজন্য গাছ গুলো কাটতে পারেনি। গতকাল ঝড়ে গাছ ভেঙে যে রবিউলের ঘর ভেঙেছে এটা আমার জানা নেই। খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

সালথায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিবেশির গাছ ভেঙ্গে পড়ে দিনমুজুরের ব্যাপক ক্ষতি

আপডেট টাইম : ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামে, কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিবেশীর চাম্বুল গাছ ভেঙে পড়ে এক দিনমুজুরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল ( ৯ মে) সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় ওই গ্রামের মৃত আলেক শেখের ছেলে রবিউল শেখ এর বসত ঘরের উপর গাছ ভেঙ্গে পড়ে। এতে তার বসত ঘরের চাল ভেঙ্গে যায়। অল্পের জন্যে বেঁচে যায় ঘরে থাকা ১৬ দিনের নবজাতকসহ কয়েকটি প্রান। এখনও তারা ভয়ে দিন পার করছে যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে পাশে থাকা আরো মটকা ধরনের চাম্বুল গাছ গুলো। প্রতিবেশি ওই গাছের মালিক স্থানীয় মোনায়েম খাঁনকে বার বার বলা সত্বেও গাছেগুলো কেটে না নেওয়ায় ওই দিনমুজুরের এই ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে জানা যায়।

 

দিনমুজুর রবিউল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবেশী মোনায়েম খান এই দূর্ঘটনাটাপূর্ন গাছগুলো কেটে নিতে আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নিয়েছে, তারপরও গাছ গুলো দুই বছর যাবত কাটেনি। তাই আজ আমার এই ক্ষতি হলো। এখন আমি আমার ঘরের ১৬ দিনের নবজাতক নিয়ে কোথায় বসবাস করবো।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ওহিদ মোল্লা বলেন, এই গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সাথে আমিও এই গাছ গুলো কেটে নেওয়ার সালিশ করেছি, গাছের মালিক মোনায়েম খান ওই গাছ বিক্রি করেও ব্যাপারীর কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিয়েছে। এটা সে কেন করেছে তা জানি না। তবে আজ অল্পের জন্যে পরিবারটি বেঁচে গেছে, আজ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো।

 

গাছের মালিক মোনায়েম খান বলেন, আমি প্রায় দুই বছর যাবত গ্রামে থাকি না। ওই সময় গাছগুলো কেটে নেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু এলাকায় না থাকাতে কাটতে পারিনি। এখন সমন্বয় করে কেটে ফেলবো।

 

 

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক মোল্লা বলেন, গাছ কাটার সালিশে আমিও ছিলাম, তবে ওই মোনায়েম খান কয়েকটি মিথ্যা ঘটনার হয়রানির স্বীকার হয়ে গ্রামে ছাড়া হতে হয়েছে তাকে। এজন্য গাছ গুলো কাটতে পারেনি। গতকাল ঝড়ে গাছ ভেঙে যে রবিউলের ঘর ভেঙেছে এটা আমার জানা নেই। খোজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।


প্রিন্ট