ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মোহনপুরে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে Logo কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর খানকে শোকজ Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo মোঃ ইমান আলী মোল্লাকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করল জাতীয় শ্রমিক লীগ Logo রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন Logo ফরিদপুরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত Logo রোহিঙ্গা পরিস্থিতিঃ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহনযোগ্যতা ও আরাকান আর্মি Logo কালুখালীতে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতনা বৃদ্ধিকরন কর্মশালা Logo চেয়ারম্যান পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে টোকন চৌধুরী Logo নরসিংদীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ৩ ও আহত ২
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে তেলেসমাতি, বঞ্চিত তালিকাভুক্ত সাংবাদিকরা

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে চলছে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমানের তেলেসমাতি। তিনি গুটিকয়েক নিজস্ব পছন্দের সাংবাদিকদের ধারাবাহিকভাবে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ কর্তৃক ইস্যুকৃত সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান করে অন্যান্য মূলধারার সাংবাদিকদের বঞ্চিত করেই চলেছে। এতে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার (৬ মে) এলজিইডি কর্তৃক দুটি বড় সরকারি বিজ্ঞাপন উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রদান না করে নিজ পছন্দ অনুযায়ী নিউ এজ এবং কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধিকে দিয়েছেন এবং গত ৪ মাস যাবৎ ধারাবাহিকভাবে সকল বিজ্ঞাপন তার পছন্দের গুটিকয়েক সাংবাদিক বাগিয়ে নিচ্ছেন।
নিয়ম অনুযায়ী সরকারি নিবন্ধনকৃত জাতীয় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিদের মধ্যে সঠিকভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টন করতে হবে। বর্তমানে নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টনে কোনো শৃঙ্খলা নেই। এক প্রকার বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করে একাধিক বার একই সাংবাদিক বিজ্ঞাপন বাগিয়ে নেয়। এ বিষয়ে নাগরপুর প্রেসক্লাব সদস্য ইউসুফ হোসেন লেনিন বলেন, আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে বন্টন করা হচ্ছে না।
এই নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিক বার অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। নাগরপুরে দৈনিক ভোরের পাতা, নবচেতনা, নয়াদিগন্ত, ঢাকা প্রতিদিন, সকালের সময়, বাংলাদেশ সমাচার সহ প্রায় ১০ টির অধিক নিবন্ধনকৃত জাতীয় পত্রিকা গত এক বছরে একটি সরকারি বিজ্ঞাপন পায়নি। এভাবে মফস্বল সাংবাদিকতা টিকতে পারে না। স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও বিজ্ঞাপন বন্টনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া সকল বৈধ সাংবাদিকদের অধিকার। ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান মোটেও কাম্য নয়।
নাগরপুর মডেল প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন জানায়, গুটিকয়েক সাংবাদিক বার বার সরকারি বিজ্ঞাপন বাগিয়ে নিচ্ছে এটা কোনো পেশাদারী সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না। উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সাংবাদিকদের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে বন্টন করার দাবী জানাচ্ছি।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকেই উপর মহলের নির্দেশক্রমে এমন সিস্টেম অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান চলছে। এখানে আমার কিছুই করার নেই।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

মোহনপুরে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে

error: Content is protected !!

নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে তেলেসমাতি, বঞ্চিত তালিকাভুক্ত সাংবাদিকরা

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে চলছে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমানের তেলেসমাতি। তিনি গুটিকয়েক নিজস্ব পছন্দের সাংবাদিকদের ধারাবাহিকভাবে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ কর্তৃক ইস্যুকৃত সরকারি বিজ্ঞাপন প্রদান করে অন্যান্য মূলধারার সাংবাদিকদের বঞ্চিত করেই চলেছে। এতে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার (৬ মে) এলজিইডি কর্তৃক দুটি বড় সরকারি বিজ্ঞাপন উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী প্রদান না করে নিজ পছন্দ অনুযায়ী নিউ এজ এবং কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধিকে দিয়েছেন এবং গত ৪ মাস যাবৎ ধারাবাহিকভাবে সকল বিজ্ঞাপন তার পছন্দের গুটিকয়েক সাংবাদিক বাগিয়ে নিচ্ছেন।
নিয়ম অনুযায়ী সরকারি নিবন্ধনকৃত জাতীয় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধিদের মধ্যে সঠিকভাবে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টন করতে হবে। বর্তমানে নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন বন্টনে কোনো শৃঙ্খলা নেই। এক প্রকার বিভিন্ন মহল ম্যানেজ করে একাধিক বার একই সাংবাদিক বিজ্ঞাপন বাগিয়ে নেয়। এ বিষয়ে নাগরপুর প্রেসক্লাব সদস্য ইউসুফ হোসেন লেনিন বলেন, আমাদের সাংবাদিকদের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে বন্টন করা হচ্ছে না।
এই নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে একাধিক বার অবগত করা হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। নাগরপুরে দৈনিক ভোরের পাতা, নবচেতনা, নয়াদিগন্ত, ঢাকা প্রতিদিন, সকালের সময়, বাংলাদেশ সমাচার সহ প্রায় ১০ টির অধিক নিবন্ধনকৃত জাতীয় পত্রিকা গত এক বছরে একটি সরকারি বিজ্ঞাপন পায়নি। এভাবে মফস্বল সাংবাদিকতা টিকতে পারে না। স্থানীয় সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও বিজ্ঞাপন বন্টনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়া সকল বৈধ সাংবাদিকদের অধিকার। ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান মোটেও কাম্য নয়।
নাগরপুর মডেল প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন জানায়, গুটিকয়েক সাংবাদিক বার বার সরকারি বিজ্ঞাপন বাগিয়ে নিচ্ছে এটা কোনো পেশাদারী সাংবাদিকতার মধ্যে পড়ে না। উপজেলার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সাংবাদিকদের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞাপন সঠিকভাবে বন্টন করার দাবী জানাচ্ছি।
নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকেই উপর মহলের নির্দেশক্রমে এমন সিস্টেম অনুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান চলছে। এখানে আমার কিছুই করার নেই।