ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন

মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলা আটিপাড়া গ্রাম ভূমিহীনদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত গুচ্ছগ্রাম নামের আশ্রয় প্রকল্পের সূচনা হয় দশকের মাঝামাঝি। নদী ভাঙ্গন এবং বড় জলোচ্ছৃসের প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ উন্মূল হইয়া যাওয়ার মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য খাস জমির উপর নির্মাণিত হয় গুচ্ছগ্রাম।সেখানে অধিকার একমাত্র ভূমিহীনদের, যাদের ঘর বাড়ি জমি কিছুই নেই রাস্তায় থাকেন তাদের জন্য আশ্রয় আবাসন গুচ্ছগ্রাম।
সরকারি আবাসন গুচ্ছগ্রাম বরাদ্দ একমাত্র ভূমিহীনদের জন্য। সেখানে থাই হচ্ছে যাদের বাড়ি ঘর আছে, তিন থেকে চার বিঘা জমি আছে, ফসলের জমিও আছে। খইমুদ্দিনের ছেলেরাও দেশের বাহিরে থাকেন, সচ্ছল পরিবার হয়ে পেয়েছেন আবাসন বরাদ্দ গুচ্ছগ্রামের একটি করে বাড়ি,কিভাবে পেয়ে থাকেন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি, এরা কি গুচ্ছগ্রামের বাড়ি পাওয়ার যোগ্য প্রশ্ন ভূমিহীনদের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর উপজেলার চরাত নগর মুন্সী ডিঙ্গি, মোঃ খইমুদ্দিন বাড়ি। নিজেই বলে থাকেন মাঠে তার সাড়ে তিন বিঘা জমি আছে এবং ছেলে দেশের বাহিরে থাকেন, বাড়ি ঘর সবই আছে, এবং একটি চায়ের দোকানেও আছে বাজারে। মাঝে মাঝে গিয়ে আবাসনের বাড়ি দেখে আসে কিন্তু থাকেন না গুচ্ছগ্রামের বাড়িতে। কিভাবে পেয়েছেন আবাসন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি প্রশ্ন সাধারণ জনগনের।
শুধু তাই নয় খইমুদ্দিনের  ছেলের নামেও আছে একটি আবাসনের বাড়ি, খইমুদ্দিনের মেয়ের নামেও আছে গুচ্ছগ্রামের বাড়ি। একই পরিবারে তিনটি বাড়ি কিভাবে পেলেন? খইমদ্দিনের বাড়িতে আছে গরুর ফার্ম ।
এ ব্যাপারে খইমদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি। সূত্রে জানা যায় ঘুষ দিয়ে আবাসন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি বাগিয়ে নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন ঘুষ!  জিজ্ঞাসা করলেও তিনি কারো নাম বলতে রাজী হননি খইমুদ্দিন।
এ বিষয়ে  সরকারি কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন সাধারণ জনগণ ও ভূমিহীনরা।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ মে ২০২৪
মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলা আটিপাড়া গ্রাম ভূমিহীনদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত গুচ্ছগ্রাম নামের আশ্রয় প্রকল্পের সূচনা হয় দশকের মাঝামাঝি। নদী ভাঙ্গন এবং বড় জলোচ্ছৃসের প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগ উন্মূল হইয়া যাওয়ার মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য খাস জমির উপর নির্মাণিত হয় গুচ্ছগ্রাম।সেখানে অধিকার একমাত্র ভূমিহীনদের, যাদের ঘর বাড়ি জমি কিছুই নেই রাস্তায় থাকেন তাদের জন্য আশ্রয় আবাসন গুচ্ছগ্রাম।
সরকারি আবাসন গুচ্ছগ্রাম বরাদ্দ একমাত্র ভূমিহীনদের জন্য। সেখানে থাই হচ্ছে যাদের বাড়ি ঘর আছে, তিন থেকে চার বিঘা জমি আছে, ফসলের জমিও আছে। খইমুদ্দিনের ছেলেরাও দেশের বাহিরে থাকেন, সচ্ছল পরিবার হয়ে পেয়েছেন আবাসন বরাদ্দ গুচ্ছগ্রামের একটি করে বাড়ি,কিভাবে পেয়ে থাকেন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি, এরা কি গুচ্ছগ্রামের বাড়ি পাওয়ার যোগ্য প্রশ্ন ভূমিহীনদের।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সিঙ্গাইর উপজেলার চরাত নগর মুন্সী ডিঙ্গি, মোঃ খইমুদ্দিন বাড়ি। নিজেই বলে থাকেন মাঠে তার সাড়ে তিন বিঘা জমি আছে এবং ছেলে দেশের বাহিরে থাকেন, বাড়ি ঘর সবই আছে, এবং একটি চায়ের দোকানেও আছে বাজারে। মাঝে মাঝে গিয়ে আবাসনের বাড়ি দেখে আসে কিন্তু থাকেন না গুচ্ছগ্রামের বাড়িতে। কিভাবে পেয়েছেন আবাসন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি প্রশ্ন সাধারণ জনগনের।
শুধু তাই নয় খইমুদ্দিনের  ছেলের নামেও আছে একটি আবাসনের বাড়ি, খইমুদ্দিনের মেয়ের নামেও আছে গুচ্ছগ্রামের বাড়ি। একই পরিবারে তিনটি বাড়ি কিভাবে পেলেন? খইমদ্দিনের বাড়িতে আছে গরুর ফার্ম ।
এ ব্যাপারে খইমদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করলে কোন উত্তর দিতে পারেননি তিনি। সূত্রে জানা যায় ঘুষ দিয়ে আবাসন গুচ্ছগ্রামের বাড়ি বাগিয়ে নিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন ঘুষ!  জিজ্ঞাসা করলেও তিনি কারো নাম বলতে রাজী হননি খইমুদ্দিন।
এ বিষয়ে  সরকারি কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন সাধারণ জনগণ ও ভূমিহীনরা।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।