ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হবে।

আজ (২২ এপ্রিল) সোমবার সকালে সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়েছেন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তাঁরা।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য সবাই দোয়া করেছেন।

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে জন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে।

নামাজে ইমামতি করেন রসুলপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। তিনি বলেন, ‘কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।’

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

আপডেট টাইম : ০২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হবে।

আজ (২২ এপ্রিল) সোমবার সকালে সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হয়েছেন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তাঁরা।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয় কৃষক মিরাজুল রহমান বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে পানি উঠছে না। মাঠের খেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য সবাই দোয়া করেছেন।

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। সে জন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবারও একই স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ হবে।

নামাজে ইমামতি করেন রসুলপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। তিনি বলেন, ‘কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।’