ঢাকা , রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo কুমারখালীতে দেড়শ রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করলো ইয়থ ডেভলপমেন্ট ফোরাম Logo আমিরাতের ৫২ জন সিআইপিকে সম্মাননা প্রদান Logo গুঁজিশহর মেলা বাণিজ্যের অর্থ নয়ছয় দুদুকের হস্তক্ষেপ কামনা Logo নাটোরে মিষ্টিতে ভ্যাট না কমালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির Logo বড়াইগ্রামে লালন স্মরণ উৎসব অনুষ্ঠিত Logo সদ্য কারা মুক্ত বিডিআর সদস্যকে ভেড়ামারা বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা Logo জাকিরের যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ, প্রশাসন নির্বিকার Logo সময়ের প্রত্যাশা’য় সংবাদ প্রকাশের পর বসন্তপুর বিলের জলাবদ্ধতার সমাধান Logo বাগাতিপাড়ায় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সংস্কারের অভাবে ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন

১৯৭১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ডি ৫ কাটা খালের উপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়েছিল দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পার্শ্বে। কাটা নদীর ওপরের সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েক গ্রামের মানুষ ও যানবাহন।

 

সেতুটির মাঝখানে গর্তের ওপর দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মালবাহী ট্রাক, বাস, স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি দিয়ে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ১০ ওয়ার্ডের মানুষসহ প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝ বরাবর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দুর্ঘটনা এড়াতে ওই গর্তের উপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের সময় কাঠ দিয়ে ডেঙে তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সেতুটি ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায়ই ঘটে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শুধু এক পাশে দেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।

 

স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি চালক জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা এ সেতুটি ব্যবহার করছি। সেতু ব্যবহার না করলে আমাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। সেতুটি খুব শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আদালত মুন্সি জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা এমন যানবাহন চলাচল মুশকিল। সেতুর মাঝের গর্তটি বেশ বড় হয়ে গেছে। কোনোরকম অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলমৎ হোসেন বলেন, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে ২০ গ্রামের মানুষের জমিতে উৎপাতি ফসল সবজি বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয় কুষ্টিয়া জেলার সব চেয়ে বড় কাঁচা মালের আড়ত খলিশাকুন্ডি কাঁচাবাজারে। ইতিপূর্বে আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

 

 

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, ওই সেতুর বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

পাবনা মিছিল করতে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৫

error: Content is protected !!

সংস্কারের অভাবে ভাঙা সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন

আপডেট টাইম : ১১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

১৯৭১ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ডি ৫ কাটা খালের উপর ৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মিত হয়েছিল দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পার্শ্বে। কাটা নদীর ওপরের সেতুটির মাঝখানে ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েক গ্রামের মানুষ ও যানবাহন।

 

সেতুটির মাঝখানে গর্তের ওপর দিয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও মালবাহী ট্রাক, বাস, স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। যানবাহন চলাচলের সময় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেতুটি দিয়ে খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ১০ ওয়ার্ডের মানুষসহ প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ সহস্রাধিক মানুষ চলাচল করে।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর মাঝ বরাবর বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দুর্ঘটনা এড়াতে ওই গর্তের উপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের সময় কাঠ দিয়ে ডেঙে তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন সেতুটি ভাঙা অবস্থায় থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রায়ই ঘটে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও শুধু এক পাশে দেওয়া হয়েছে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড।

 

স্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি চালক জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতুটির ওপর দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে আমাদের যানবাহন চালাতে হচ্ছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই আমরা এ সেতুটি ব্যবহার করছি। সেতু ব্যবহার না করলে আমাদের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বেশি ঘুরতে হয়। সেতুটি খুব শিগগিরই মেরামত করা প্রয়োজন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা রাসেল হোসেন, কামরুল ইসলাম, আদালত মুন্সি জানান, সেতুটির বর্তমান অবস্থা এমন যানবাহন চলাচল মুশকিল। সেতুর মাঝের গর্তটি বেশ বড় হয়ে গেছে। কোনোরকম অসাবধানতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

 

খলিশাকুন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলমৎ হোসেন বলেন, ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে ২০ গ্রামের মানুষের জমিতে উৎপাতি ফসল সবজি বোঝাই গাড়ি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয় কুষ্টিয়া জেলার সব চেয়ে বড় কাঁচা মালের আড়ত খলিশাকুন্ডি কাঁচাবাজারে। ইতিপূর্বে আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

 

 

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, ওই সেতুর বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ পেলে ওই স্থানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।


প্রিন্ট