কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিজয়’ ৭১ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু।
প্রধান অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু। ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল আলম চুনু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল আজিজ। সঞ্চালনা করেন আইসিটি প্রোগ্রাম অফিসার আলমঙ্গীর হোসেন।
দিনটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ভেড়ামারায় পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এসব কর্মসূচি পালন করেছে।
বক্তারা বলনে, আজ ২৬ মার্চ, ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেন,বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে জাতিসত্তায় রূপান্তর করে ‘বাংলাদেশ’ নামক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার নেতৃত্বের একমাত্র কৃতিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এ কারণেই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যতদিন, যতবার লেখা হবে, পড়া হবে, ততদিন, ততবার বঙ্গবন্ধু বারবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
প্রিন্ট