ঢাকা , বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে ১২৭ বোতল ফেনসিডিল সহ ১ আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিউনিটি অব পর্তুগালের নতুন কমিটি গঠন Logo তানোর-গোদাগাড়ীর ১৬৮টি ভোট কেন্দ্রের ১৫৫টি গুরুত্বপুর্ণ Logo রাত পোহালেই কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলায় ভোটঃ কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ব্যালট যাবে সকালে Logo নাগরপুরে সরকারি বিজ্ঞাপন নিয়ে তেলেসমাতি, বঞ্চিত তালিকাভুক্ত সাংবাদিকরা Logo নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন আনসার সদস্যরাঃ -ইউএনও আকাশ কুমার কুন্ডু Logo বোয়ালমারীতে প্রেমিকসহ দুই বন্ধুর নামে ধর্ষণ মামলায় আটক-১ Logo রাত পোহালে খোকসা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনঃ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুত সম্পন্ন Logo আলফাডাঙ্গার বীর মুক্তিযোদ্ধা সানোয়ার খান মারা গেছেন Logo নগরকান্দায় বজ্রপাতে আহত শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় ফিরেছে
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জলদস্যুদের কবলে নাগরপুরের সাব্বির

একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ হাউমাউ করে কাঁদচ্ছেন। মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাদঁছেন আর বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থণা করছেন। তার ভাই যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে তাদের কাছে আবার ফেরত আসে।
তাদের কান্না থামাতে গ্রামের লোকজন বাড়িতে এসে ভির করছেন। গ্রামের লোকজন ও আত্বীয় স্বজনরা বাড়িতে এসে তাদের শান্তনা দিচ্ছেন। জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তাদের একটাই দাবি সরকার যেন দ্রুত সাব্বিরকে মুক্ত করে আনে। জানা যায়, ভারত মহাসাগড়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সাব্বির হোসেন, পিতার নাম হারুনুর রশিদ।
বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। সে নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিগত ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইলের কাগমারি এমএম আলী কলেজ থেকে বিগত ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে বিগত ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী নেন।সাব্বিরের চাচাতো ভাই আহম্মেদ হোসেন রানা বলেন, সাব্বিররা এক ভাই এক বোন। সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে।
তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। বোনের বিয়ে হয়েছে। সাব্বিরের বাবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারাইলাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। সাব্বিরের চাকুরী হওয়ার পর তার মা শয্যাসায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবপুর তার বাবার বাড়ি বসবাস করেন। সহবতপুরের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে এখন কেউ আর থাকেন না। একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বির। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না।
সরকারের কাছে দাবি জানাই সাব্বিরসহ সবাইকে যেন জিম্মি দশা থেকে দ্রুত মুক্ত করে। সাব্বিরের একমাত্র বোন মিতু আক্তার বলেন, আমার ভাই গত সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে যে বিষুব রেখা অতিক্রম করলাম। মাথা ন্যাড়া করে ছবি আপলোড করেছে। এক মাস আগে সে বাড়ি আসছিল। একদিন থেকেই সে চলে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতংকে দিন কাটাচ্ছি। বাবা-মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে আমার ছেলেকে এনে দাও। আমার একমাত্র ভাইয়ের কিছু হলে বাবা-মাকে বাচাঁনো যাবেনা। অতি দ্রুত আমার ভাইকে মুক্ত করে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফরিদপুরে ১২৭ বোতল ফেনসিডিল সহ ১ আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

error: Content is protected !!

জলদস্যুদের কবলে নাগরপুরের সাব্বির

আপডেট টাইম : ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
একমাত্র ছেলের জিম্মির খবর শুনে বাবা হারুন অর রশিদ হাউমাউ করে কাঁদচ্ছেন। মা সালেহা বেগম বুক চাপড়িয়ে কাদঁছেন আর বিলাপ করছেন। একমাত্র বোন মিতু আক্তার ভাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থণা করছেন। তার ভাই যেন জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হয়ে তাদের কাছে আবার ফেরত আসে।
তাদের কান্না থামাতে গ্রামের লোকজন বাড়িতে এসে ভির করছেন। গ্রামের লোকজন ও আত্বীয় স্বজনরা বাড়িতে এসে তাদের শান্তনা দিচ্ছেন। জিম্মির খবর পেয়ে স্বজনরা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তাদের একটাই দাবি সরকার যেন দ্রুত সাব্বিরকে মুক্ত করে আনে। জানা যায়, ভারত মহাসাগড়ে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী জাহাজের ২৩ জন নাবিকের মধ্যে রয়েছেন সাব্বির হোসেন, পিতার নাম হারুনুর রশিদ।
বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে। সে নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিগত ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করে। টাঙ্গাইলের কাগমারি এমএম আলী কলেজ থেকে বিগত ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে বিগত ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে চাকুরী নেন।সাব্বিরের চাচাতো ভাই আহম্মেদ হোসেন রানা বলেন, সাব্বিররা এক ভাই এক বোন। সে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে।
তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন। বোনের বিয়ে হয়েছে। সাব্বিরের বাবা মস্তিস্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে প্যারাইলাইজড হয়ে শয্যাশায়ী। সাব্বিরের চাকুরী হওয়ার পর তার মা শয্যাসায়ী স্বামীকে নিয়ে সহবপুর তার বাবার বাড়ি বসবাস করেন। সহবতপুরের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামে এখন কেউ আর থাকেন না। একমাত্র উপার্জনক্ষম সাব্বির। তার কিছু হয়ে গেলে তাদের আর চলার উপায় থাকবে না।
সরকারের কাছে দাবি জানাই সাব্বিরসহ সবাইকে যেন জিম্মি দশা থেকে দ্রুত মুক্ত করে। সাব্বিরের একমাত্র বোন মিতু আক্তার বলেন, আমার ভাই গত সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ফেসবুকে আপলোড দিয়েছে যে বিষুব রেখা অতিক্রম করলাম। মাথা ন্যাড়া করে ছবি আপলোড করেছে। এক মাস আগে সে বাড়ি আসছিল। একদিন থেকেই সে চলে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর পেয়ে সবাই আতংকে দিন কাটাচ্ছি। বাবা-মা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা শুধু কেঁদেই চলছে আর বলছে আমার ছেলেকে এনে দাও। আমার একমাত্র ভাইয়ের কিছু হলে বাবা-মাকে বাচাঁনো যাবেনা। অতি দ্রুত আমার ভাইকে মুক্ত করে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।