ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মুন্সীগঞ্জ ফ্যাক্টরিতে আগুনঃ দগ্ধ সালথার চার জনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু

জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চার দুস্থ যুবক মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুল এলাকার একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে চাকরি করে ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত পনে ৯টার দিকে ওই ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে। এতে সালথার চার যুবকই দগ্ধ হন।

 

দগ্ধরা হলেন, সালথার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে রিয়াজুল ফকির (৩৭), পাশের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৭), রাকিব হোসেন (২৫) ও মতিউর রহমান (৩৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান রিয়াজুল।

 

বাকি দগ্ধরা হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এদিকে শনিবার সকালে নিহত রিয়াজুলের লাশ সালথার বাড়িতে আনা হলে শোকের মায়া নেমে আসে পরিবারে। রিয়াজুলের স্ত্রী ও দুটি মেয়ের আহাজারিতে বাড়ির পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। শনিবার বাদ যোহর লক্ষনদিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রিয়াজুলের লাশ দাফন করা হয়েছে।

 

নিহতের পরিবার জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রিয়াজুল। তার এমন মৃত্যু কেউ নেমে নিতে পারছে না। এখন কি হবে রিয়াজুলের স্ত্রী ও মেয়ে দুটির। কে নেবে তাদের দায়িত্ব। এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবারের মধ্যে।

 

লক্ষনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, দগ্ধ চার যুবকই গরীব। তারা পেটের তাগিদে মুন্সীগঞ্জের গিয়ে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে চলত তাদের সংসার। বিশেষ করে রিয়াজুলের পরিবারের কিছুই নেই। সে বেশি অসহায় ছিল। তার মৃত্যুতে স্ত্রী-সন্তানদের চরম বেকায়দায় পড়তে হবে।

 

উল্লেখ্য, গত বহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুল এলাকায় জে কে নামে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সালথার ওই চার যুবক আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

মুন্সীগঞ্জ ফ্যাক্টরিতে আগুনঃ দগ্ধ সালথার চার জনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
এফ.এম.আজিজুর রহমান, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার চার দুস্থ যুবক মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুল এলাকার একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন। সেখানে চাকরি করে ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে গত বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত পনে ৯টার দিকে ওই ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগে। এতে সালথার চার যুবকই দগ্ধ হন।

 

দগ্ধরা হলেন, সালথার গট্টি ইউনিয়নের লক্ষনদিয়া গ্রামে রিয়াজুল ফকির (৩৭), পাশের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৭), রাকিব হোসেন (২৫) ও মতিউর রহমান (৩৩)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান রিয়াজুল।

 

বাকি দগ্ধরা হাসপাতালে এখনো মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এদিকে শনিবার সকালে নিহত রিয়াজুলের লাশ সালথার বাড়িতে আনা হলে শোকের মায়া নেমে আসে পরিবারে। রিয়াজুলের স্ত্রী ও দুটি মেয়ের আহাজারিতে বাড়ির পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। শনিবার বাদ যোহর লক্ষনদিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে রিয়াজুলের লাশ দাফন করা হয়েছে।

 

নিহতের পরিবার জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন রিয়াজুল। তার এমন মৃত্যু কেউ নেমে নিতে পারছে না। এখন কি হবে রিয়াজুলের স্ত্রী ও মেয়ে দুটির। কে নেবে তাদের দায়িত্ব। এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে পরিবারের মধ্যে।

 

লক্ষনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, দগ্ধ চার যুবকই গরীব। তারা পেটের তাগিদে মুন্সীগঞ্জের গিয়ে ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। সেখান থেকে যা আয় করতেন, তা দিয়ে কোনো রকমে চলত তাদের সংসার। বিশেষ করে রিয়াজুলের পরিবারের কিছুই নেই। সে বেশি অসহায় ছিল। তার মৃত্যুতে স্ত্রী-সন্তানদের চরম বেকায়দায় পড়তে হবে।

 

উল্লেখ্য, গত বহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুল এলাকায় জে কে নামে একটি প্লাস্টিক ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে সালথার ওই চার যুবক আহত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।


প্রিন্ট